কোরান সূরা বাকারাহ্ আয়াত 90 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Baqarah ayat 90 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বাকারাহ্ আয়াত 90 আরবি পাঠে(Baqarah).
  
   

﴿بِئْسَمَا اشْتَرَوْا بِهِ أَنفُسَهُمْ أَن يَكْفُرُوا بِمَا أَنزَلَ اللَّهُ بَغْيًا أَن يُنَزِّلَ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ عَلَىٰ مَن يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ ۖ فَبَاءُوا بِغَضَبٍ عَلَىٰ غَضَبٍ ۚ وَلِلْكَافِرِينَ عَذَابٌ مُّهِينٌ﴾
[ البقرة: 90]

যার বিনিময়ে তারা নিজেদের বিক্রি করেছে, তা খুবই মন্দ; যেহেতু তারা আল্লাহ যা নযিল করেছেন, তা অস্বীকার করেছে এই হঠকারিতার দরুন যে, আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ নাযিল করেন। অতএব, তারা ক্রোধের উপর ক্রোধ অর্জন করেছে। আর কাফেরদের জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। [সূরা বাকারাহ্: 90]

Surah Al-Baqarah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Baqarah ayat 90


গর্হিত তা যা দিয়ে তারা নিজেদের আ‌ত্মা বিনিময় করেছে যে জন্য আল্লাহ্ যা অবতারণ করেছেন তা তারা অবিশ্বাস করে বিদ্বেষের বশে -- যে আল্লাহ্ তাঁর কৃপাবশতঃ উহা অবতীর্ণ করবেন তাঁর দাসদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা করেন তার কাছে! তাই তারা রোষের উপর রোষ টেনে আনলো। আর অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৯০. সত্যিই সে জিনিস অত্যন্ত নিকৃষ্ট যা তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনার পরিবর্তে গ্রহণ করেছে। আর তা হলো তারা যুলুম ও হিংসাবশতঃ আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান ও তাঁর রাসূলদের সাথে কুফরি করেছে। কারণ, কুরআন ও নবুওয়াত মুহাম্মাদ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর উপর নাযিল হয়েছে। যেহেতু তারা মুহাম্মাদ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর সাথে কুফরি করেছে, আর ইতিপূর্বে তাওরাতকেও বিকৃত করেছে। তাই তারা আল্লাহর কঠিন রোষানলে পতিত হয়েছে। বস্তুতঃ যারা মুহাম্মাদ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর নবুওয়াতের সাথে কুফরি করেছে তাদের জন্য কিয়ামতের দিন রয়েছে লাঞ্ছনাকর শাস্তি।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তা কত নিকৃষ্ট যার বিনিময়ে তারা তাদের আত্মাকে বিক্রয় করেছে; তা এই যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তা তারা অবিশ্বাস করছে শুধু এই হঠকারিতার দরুন[১] যে, আল্লাহ তাঁর দাসদের মধ্য হতে যাকে ইচ্ছা অনুগ্রহ করেন। সুতরাং তারা ক্রোধের[২] উপর ক্রোধের পাত্র হল। আর ( কাফের ) অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। [১] অর্থাৎ, এ কথা জানা সত্ত্বেও যে, মুহাম্মাদ ( সাঃ ) সেই শেষ নবী, যাঁর গুণাবলীর কথা তাওরাত ও ইঞ্জীলে উল্লিখিত হয়েছে এবং আহলে কিতাব তাদের এক মুক্তিদাতা হিসেবে তাঁর আগমনের অপেক্ষাও করছিল, কিন্তু কেবল এই জ্বালায় ও হিংসায় তাঁর উপর ঈমান আনেনি যে, নবী আমাদের মধ্য থেকে কেন হল না, যেমন আমাদের ধারণা ছিল। অর্থাৎ, তারা ( নবীর নবুঅতকে ) অস্বীকার করেছিল জাতিগত বিদ্বেষ ও হিংসার ভিত্তিতে, দলীল ও প্রমাণের ভিত্তিতে নয়। [২] ক্রোধের উপর ক্রোধের অর্থ হল, অত্যধিক ক্রোধ। কারণ, তারা বারবার ক্রোধ উদ্রেককর কাজ করতে থাকে; যেমন পূর্বে ( ৬১নং আয়াতের টীকায় ) এর বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এখন শুধুমাত্র হিংসার কারণে ক্বুরআন ও মুহাম্মাদ ( সাঃ )-কে অস্বীকার করল।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


যার বিনিময়ে তারা তদের নিজেদের কে বিক্রি করেছে তা কতই না নিকৃষ্ট ! তা হচ্ছে, আল্লাহ্‌ যা নাযিল করেছেন, তারা তার সাথে কুফরী করেছে, হটকারীতাবশতঃ শুধু এজন্য যে, আল্লাহ্‌ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা স্বীয় অনুগ্রহ নাযিল করেন। কাজেই তারা ক্রোধের উপর ক্রোধ অর্জন করেছে []। আর কাফেরদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাময় শাস্তি []। [] এখানে তাদের শক্রতাকে কুফরের কারণ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এখানে এক ক্রোধ কুফরের কারণে এবং অপর ক্রোধ হিংসার কারণে। এ জন্যই ক্রোধের উপর ক্ৰোধ বলা হয়েছে। পরবর্তী আয়াতে তাদের যে উক্তি উদ্ধৃত হয়েছে তা থেকে কুফর প্রমাণিত হয় এবং হিংসাও বুঝা যায়। তবে ইকরিমাহ বলেন, তাদের উপর এক ক্রোধ হচ্ছে, ঈসা ‘আলাইহিস সালামের উপর কুফরী করার কারণে, আর অন্য ক্রোধ হচ্ছে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর কুফরীর কারণে। তাছাড়া শাস্তির সাথে অপমানজনক পদ যোগ করে বলা হয়েছে যে, এ শাস্তি কাফেরদের জন্যই নির্দিষ্ট। কেননা, পাপী ঈমানদারদেরকে যে শাস্তি দেয়া হবে, তা হবে তাকে পাপমুক্ত করার উদ্দেশ্যে, অপমান করার উদ্দেশ্যে নয়। কাফেরদের জন্য অপমানজনক শাস্তির আরেক কারণ হচ্ছে, তাদের অহঙ্কার। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ কিয়ামতের দিন অহংকারীদেরকে মানুষের সুরতে পিপড়ার মত করে জমায়েত করা হবে ছোট সব কিছুই তাদের উপর থাকবে। শেষ পর্যন্ত তাদেরকে জাহান্নামের এক কয়েদখানায় প্রবিষ্ট করানো হবে যার নাম হচ্ছে, বুলস ! যাবতীয় আগুন তাদের উপরে থাকবে। তাদেরকে জাহান্নামবাসীদের পুঁজ তীনাতুল খাবাল থেকে পান করানো হবে। " [ মুসনাদে আহমাদ: ২/১৭৯ ] [] আয়াতে উল্লেখিত দু'টি শাস্তির প্রথমটি হলো পার্থিব জীবনে লাঞ্ছনা ও দুর্গতি। তা এভাবে বাস্তব রূপ লাভ করেছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আমলেই মুসলিমদের সাথে সম্পাদিত চুক্তিভংগের অপরাধে বনী-কুরাইযা মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ও বন্দী হয়েছে এবং বনী-নাদীরকে চরম অপমান ও লাঞ্ছনার সাথে সিরিয়ায় নির্বাসিত করা হয়েছে

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


অভিশাপের উপর অভিশাপ ভাবার্থ এই যে,ঐ ইয়াহদীরা-যারা রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সত্যতা স্বীকারের পরিবর্তে তাঁকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করে এবং তাঁর প্রতি ঈমান আনার পরিবর্তে কুফরী করে, তাকে সাহায্য করার পরিবর্তে তাঁর বিরুদ্ধাচরণ ও শত্রুতা করে; আর এর কারণে তারা নিজেদেরকে আল্লাহর যে রোষানলে নিক্ষেপ করেছে তা অত্যন্ত জঘন্য জিনিস, যা তারা উত্তম জিনিসের পরিবর্তে গ্রহণ করেছে। ওর কারণ শুধুমাত্র হিংসা বিদ্বেষ, অহংকার ও অবাধ্যতা ছাড়া আর কিছুই নয়। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাদের মধ্য হতে না হয়ে আরবদের মধ্য হতে হয়েছিলেন বলেই তারা মুখ তুলে বসে পড়ে। অথচ আল্লাহর উপরে পরম বিচারক আর কেউ নেই। রিসালাতের হকদার কে তা তিনি ভালভাবেই জানেন। তিনি তার দান ও অনুগ্রহ স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছে তাকেই দিয়ে থাকেন। সুতরাং এক তো তাওরাতের নির্দেশাবলী মান্য না করার কারণে তাদের উপর আল্লাহর গযব ছিলই, এখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ )কে অস্বীকার করার কারণে তাদের উপর দ্বিতীয় গযব নেমে আসে। কিংবা এটাও হতে পারে যে, প্রথম গযব হয় হযরত ঈসা ( আঃ )কে না মানার কারণে এবং দ্বিতীয় গযব হয় হযরত মুহাম্মদ ( সঃ )কে না মানার কারণে। অথবা প্রথম গ্যব হয় বাছুর পূজার কারণে এবং দ্বিতীয় গযব হয় হযরত মুহাম্মদ ( সঃ )-এর বিরুদ্ধাচরণ করার কারণে।তারা হিংসা-বিদ্বেষের বশবর্তী হয়ে রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর নবুওয়াতকে অস্বীকার করেছিল এবং এ হিংসা বিদ্বেষের প্রকৃত কারণ তাদের অংহকার। এ জন্যেই তাদেরকে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ করা হয়েছিল, যেন পারে পূর্ণ প্রতিদান হয়ে যায়। আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেনঃ “ নিশ্চয় যারা আমার ইবাদতের ব্যাপারে অহংকার করে তারা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে ।' রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ “ কিয়ামতের দিন অহংকারী লোকদেরকে মানুষের আকারে পিপড়ার ন্যায় উঠানো হবে, তাদেরকে সমস্ত জিনিস দলিত মথিত করে চলে যাবে এবং তাদেরকে জাহান্নামের ধূস' নামক কয়েদখানার মধ্যে নিক্ষেপ করা হবে- যে স্থানের আগুন অন্য আগুন অপেক্ষা অধিক তাপ বিশিষ্ট হবে । আর তাদেরকে জাহান্নামের রক্ত, পুঁজ ইত্যাদি পান করানো হবে।'

সূরা বাকারাহ্ আয়াত 90 সূরা

بئسما اشتروا به أنفسهم أن يكفروا بما أنـزل الله بغيا أن ينـزل الله من فضله على من يشاء من عباده فباءوا بغضب على غضب وللكافرين عذاب مهين

سورة: البقرة - آية: ( 90 )  - جزء: ( 1 )  -  صفحة: ( 14 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
  2. যে না দেখে দয়াময় আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করত এবং বিনীত অন্তরে উপস্থিত হত।
  3. বলুনঃ হে পালনকর্তা! আমাকে দাখিল করুন সত্যরূপে এবং আমাকে বের করুন সত্যরূপে এবং দান করুন
  4. তাদের পূর্বে কত মানব গোষ্ঠীকে আমি বিনাশ করেছি, তারা তাদের চাইতে সম্পদে ও জাঁক-জমকে শ্রেষ্ঠ
  5. তাদের একদল হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।
  6. তিনি বললেনঃ যে কেউ সীমালঙ্ঘনকারী হবে আমি তাকে শাস্তি দেব। অতঃপর তিনি তাঁর পালনকর্তার কাছে
  7. আমি তাঁকে দুনিয়াতে দান করেছি কল্যাণ এবং তিনি পরকালেও সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভূক্ত।
  8. (অতঃপর) তারা যখন শাস্তিকে মেঘরূপে তাদের উপত্যকা অভিমুখী দেখল, তখন বলল, এ তো মেঘ, আমাদেরকে
  9. নিশ্চয় দিবাভাগে রয়েছে আপনার দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা।
  10. মানুষকে যখন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন তারা তাদের পালনকর্তাকে আহবান করে তাঁরই অভিমুখী হয়ে। অতঃপর

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বাকারাহ্ ডাউনলোড করুন:

সূরা Baqarah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Baqarah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, November 24, 2024

Please remember us in your sincere prayers