কোরান সূরা আ'রাফ আয়াত 12 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Araf ayat 12 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আ'রাফ আয়াত 12 আরবি পাঠে(Araf).
  
   

﴿قَالَ مَا مَنَعَكَ أَلَّا تَسْجُدَ إِذْ أَمَرْتُكَ ۖ قَالَ أَنَا خَيْرٌ مِّنْهُ خَلَقْتَنِي مِن نَّارٍ وَخَلَقْتَهُ مِن طِينٍ﴾
[ الأعراف: 12]

আল্লাহ বললেনঃ আমি যখন নির্দেশ দিয়েছি, তখন তোকে কিসে সেজদা করতে বারণ করল? সে বললঃ আমি তার চাইতে শ্রেষ্ট। আপনি আমাকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা। [সূরা আ'রাফ: 12]

Surah Al-Araf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Araf ayat 12


তিনি বললেন -- ''কি তোমাকে বাধা দিয়েছিল যেজন্য তুমি সিজদা করলে না যখন আমি তোমাকে আদেশ করেছিলাম?’’ সে বললে -- ''আমি তার চাইতে শ্রেষ্ঠ, আমাকে তুমি আগুন দিয়ে সৃষ্টি করেছ, আর তাকে তুমি সৃষ্টি করেছ কাদা দিয়ে।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


১২. আল্লাহ তা‘আলা ইবলিসকে ধমক দিয়ে বললেন: আদমকে সাজদাহ দেয়ার আদেশ মানার ক্ষেত্রে কী তোমাকে বাধা দিয়েছে? ইবলিস তার প্রতিপালকের প্রশ্নের উত্তরে বললো: আমাকে তা করতে এ কথাই বাধা দিয়েছে যে, আমি তার চেয়ে উত্তম। কারণ, আপনি আমাকে আগুন দিয়ে তৈরি করেছেন আর তাকে কাদা মাটি দিয়ে। অথচ আগুন কাদা মাটির চেয়ে বেশি সম্মানী।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তিনি বললেন, ‘আমি যখন তোমাকে আদেশ দিলাম, তখন কিসে তোমাকে নিবৃত্ত করল যে, তুমি সিজদাহ করলে না?’[১] সে বলল, ‘আমি ওর ( আদম ) চেয়ে শ্রেষ্ঠ, তুমি আমাকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করেছ এবং ওকে সৃষ্টি করেছ কাদামাটি দ্বারা।’ [২] [১] أَلاَّ تَسْجُدَ তে لا অতিরিক্ত। অর্থাৎ, أَنْ تَسْجُدَ ( সিজদা করতে তোমাকে বাধা কে দিল? ) অথবা কিছু শব্দ ঊহ্য আছে। অর্থাৎ, " কোন্ জিনিস তোমাকে বাধ্য করল সিজদা না করতে? " ( ইবনে কাসীর, ফাতহুল ক্বাদীর ) শয়তান ফিরিশতাদের জাতিভুক্ত ছিল না। বরং স্বয়ং কুরআনের বিবৃতি অনুযায়ী সে ছিল জ্বিন জাতির একজন। ( সূরা কাহা্ফ ১৮:৫০ ) তবে আসমানে ফিরিশতাদের সাথে থাকার কারণে সেও আল্লাহর সিজদা করতে বলার সেই আদেশের আওতাভুক্ত ছিল, যা তিনি ফিরিশতাদেরকে করেছিলেন। আর এই কারণেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তিরস্কারও করা হয়েছে। যদি সে এই আদেশে শামিল না থাকত, তাহলে না তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হত, আর না সে ( আল্লাহর দরবার থেকে ) বিতাড়িত হত।[২] শয়তানের এই ওজর আরো অপরাধমূলক। যেমন, বলা হয় যে, পাপের জন্য ওজর পেশ করা আরো বড় পাপ। প্রথমতঃ তার এই ধারণাই ভুল যে, অধিক শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারীকে তার থেকে কম শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী ব্যক্তির সম্মান প্রদান করার নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে না। কারণ, প্রকৃত জিনিস হল আল্লাহর নির্দেশ পালন। তাঁর নির্দেশের সামনে কে শ্রেষ্ঠ আর কে শ্রেষ্ঠ নয় এ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করাই হল তাঁর অবাধ্যতা। দ্বিতীয়তঃ সে উত্তম হওয়ার দলীল এটাই দিল যে, আমি আগুন থেকে সৃষ্ট, আর সে মাটি থেকে। কিন্তু সে এই মর্যাদা ও সম্মানের প্রতি ভ্রূক্ষেপও করল না যে, তাঁকে আল্লাহ তাঁর নিজ হাত দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং নিজের পক্ষ থেকে তাঁর মধ্যে আত্মা দান করেছেন। দুনিয়ার কোন জিনিস কি এই সম্মানের মোকাবেলা করতে পারে? তৃতীয়তঃ স্পষ্ট উক্তির মোকাবেলায় সে কিয়াস ( অনুমিতি ) করল, যা কোন আল্লাহভীরু বান্দার কাজ হতে পারে না। এ ছাড়াও তার কিয়াস ( অনুমিতি )ও বাতিল। আগুন মাটি থেকে কিভাবে উত্তম? আগুনের মধ্যে তেজি, উত্তাপ এবং দহন ক্ষমতা ছাড়া আর কি আছে? পক্ষান্তরে মাটির মধ্যে আছে স্থিরতা, দৃঢ়তা। এর মধ্যে আছে উদ্ভিদ-বৃদ্ধি, উৎপাদন এবং বস্তু পরিশুদ্ধ করণের যোগ্যতা। আর এ গুণগুলো আগুনের চেয়ে অবশ্যই উত্তম এবং বেশী উপকারীও। এই আয়াত থেকে জানা গেল যে, শয়তান সৃষ্টি হয়েছে আগুন থেকে। যেমন, হাদীসেও এসেছে যে, " ফেরেশতাকুল নূর থেকে, ইবলীস অগ্নিশিখা থেকে এবং আদম ( আঃ )-কে মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। " ( সহীহ মুসলিম, যুহ্দ অধ্যায় )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তিনি বললেন, ‘আমি যখন তোমাকে আদেশ দিলাম তখন কি তোমাকে নিবৃত্ত করল যে, তুমি সিজদা করলে না?’ সে বলল, ‘আমি তার চেয়ে শ্ৰেষ্ঠ; আপনি আমাকে আগুন দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে কাদামাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন []। [] এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হচ্ছে যে, ইবলীসকে আল্লাহ্ তা'আলা আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর যদি ইবলীসকে সমস্ত জিন জাতির পিতা বলা হয়, তখন তো এ ব্যাপারে আর কোন কথাই থাকে না। কারণ অন্যান্য আয়াতেও জিন জাতিকে আগুন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আল্লাহ বলেন, “ আর এর আগে আমরা সৃষ্টি করেছি জিনদেরকে অতি উষ্ণ নিধুম আগুন থেকে" [ সূরা আল-হিজর:২৭ ] তাছাড়া অন্যত্র আরও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, জিন জাতিকে ‘মারেজ’ থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে আর ‘মারেজ’ হচ্ছে, নির্ধুম অগ্নিশিখাআল্লাহ বলেন, “এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন নির্ধুম আগুনের শিখা হতে " [ সূরা আর-রহমান ১৫ ] [ আদওয়াউল বায়ান ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


কোন কোন আরবী ব্যাকরণবিদের উক্তি অনুসারে ( আরবী )-এই স্থানে ( আরবী ) শব্দটি অতিরিক্ত এবং একে ইনকার বা অস্বীকৃতির প্রতি গুরুত্ব আরোপের জন্যে আনা হয়েছে। যেমন কোন কবি বলেছেন( আরবী ) এখানে ( আরবী ) -শব্দটি ( আরবী )-এর জন্যে এসেছে এবং একে ( আরবী )-এর উপর গুরুত্ব বুঝাবার জন্যে আনা হয়েছে। এখানে যেন ( আরবী ) শব্দটি অতিরিক্ত। ( আরবী ) আল্লাহ পাকের এই উক্তিটি এর পূর্বেই এসেছে। ইবনে জারীর ( রঃ )-এর উক্তি এই যে, ( আরবী ) অন্য একটি ( আরবী ) -এর অন্তর্ভুক্ত। যার অর্থ হবে“ কোন জিনিসটি তোমাকে বাধ্য করেছিল যে, তুমি সিজদা করবে না, অথচ আমার নির্দেশ বিদ্যমান ছিল?” এ উক্তিটি সবল ও উত্তম । আল্লাহ তাআলাই এসব বিষয়ে সবচেয়ে ভাল জানেন। ইবলীস উত্তরে বলেছিল-“ আমি আদম ( আঃ )-এর চেয়ে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ । আর যে শ্রেষ্ঠ সে এমন কাউকে সিজদা করতে পারে না যার উপর তার শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। সুতরাং আমার প্রতি আদম ( আঃ )-এর সিজদা করার হুকুম হল কেন?” সে দলীল পেশ করেছিল যে, তাকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। আর আগুন হচ্ছে মাটি হতে বেশী মর্যাদা সম্পন্ন যা দ্বারা আদম ( আঃ )-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। সে লক্ষ্য করেছে উপাদানের প্রতি, কিন্তু ঐ শরীফ আদম ( আঃ )-এর প্রতি লক্ষ্য করেনি যাকে মহান আল্লাহ নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন এবং তার মধ্যে স্বীয় রূহ ভরে দিয়েছেন! সে একটা বিকৃত অনুমান কায়েম করেছে যা মহান আল্লাহর প্রকাশ্য হুকুমের বিরোধী।মোটকথা, সমস্ত ফেরেস্তা সিজদায় পড়ে গেলেন। ইবলীস সিজদা না করার কারণে ফেরেশতাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লো এবং আল্লাহ তা'আলার অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ে গেল। এই নৈরাশ্য প্রকৃতপক্ষে হচ্ছে তার নিজের ভুলেরই প্রতিফল এবং সে কিয়াস বা অনুমানেও ভুল করেছিল। তার দাবী ছিল এই যে, আগুন মাটি হতে শ্রেষ্ঠ। কিন্তু মাটির শান হচ্ছে ধৈর্য, সহিষ্ণুতা, নম্রতা এবং কাজে স্থিরতা। তা ছাড়া মাটি হচ্ছে উদ্ভিদ ও লতাপাতা জন্মিবার স্থান। আগুনের শান হচ্ছে পুড়িয়ে দেয়া, ইন্দ্রিয়াবেগ এবং দ্রুততা। ইবলীসের উপাদান তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আর আদম ( আঃ )-এর উপাদান রুজু, অপারগতা এবং আনুগত্য স্বীকার করে তার উপকার সাধন করেছিল । হযরত আয়েশা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ ফেরেশতাদেরকে নূর দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে, ইবলীসকে সৃষ্টি করা হয়েছে । অগ্নিশিখা দ্বারা, আদম ( আঃ )-কে সৃষ্টি করা হয়েছে মাটি দ্বারা এবং হ্রদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে যাফরান দ্বারা।” ইবলীস কিয়াস বা অনুমান কায়েমকারী। আর সূর্য ও চন্দ্রের ইবাদতও কিয়াসের উপর ভিত্তি করেই শুরু হয়।

সূরা আ'রাফ আয়াত 12 সূরা

قال ما منعك ألا تسجد إذ أمرتك قال أنا خير منه خلقتني من نار وخلقته من طين

سورة: الأعراف - آية: ( 12 )  - جزء: ( 8 )  -  صفحة: ( 152 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. যারা আমার নিদর্শনাবলীকে মিথ্যা বলে, তাদেরকে তাদের নাফরমানীর কারণে আযাব স্পর্শ করবে।
  2. আপনি যখন সেখানে দেখবেন, তখন নেয়ামতরাজি ও বিশাল রাজ্য দেখতে পাবেন।
  3. অতএব আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন।
  4. তারা বললঃ এই দুইজন নিশ্চিতই যাদুকর, তারা তাদের যাদু দ্বারা তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বহিস্কার
  5. এখন তারা বলবেঃ সবই আল্লাহর। বলুন, তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না?
  6. যখন কিয়ামতের ঘটনা ঘটবে,
  7. নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তা’আলারই। তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং
  8. আপনার পালনকর্তা সত্বরই আপনাকে দান করবেন, অতঃপর আপনি সন্তুষ্ট হবেন।
  9. অতএব, যখন আপনি কোরআন পাঠ করেন তখন বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করুন।
  10. আল্লাহর পক্ষ থেকে যে সত্য এসেছে, তার ব্যতিক্রম কিছু না বলার ব্যাপারে আমি সুদৃঢ়। আমি

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আ'রাফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Araf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Araf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আ'রাফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আ'রাফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আ'রাফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আ'রাফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আ'রাফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আ'রাফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers