কোরান সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 14 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Al Isra ayat 14 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 14 আরবি পাঠে(Al Isra).
  
   

﴿اقْرَأْ كِتَابَكَ كَفَىٰ بِنَفْسِكَ الْيَوْمَ عَلَيْكَ حَسِيبًا﴾
[ الإسراء: 14]

পাঠ কর তুমি তোমার কিতাব। আজ তোমার হিসাব গ্রহণের জন্যে তুমিই যথেষ্ট। [সূরা বনী ইসরাঈল: 14]

Surah Al-Isra in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Al Isra ayat 14


''পড় তোমার গ্রন্থ, -- আজকের দিনে তোমার আ‌ত্মাই তোমার উপরে হিসাব-তলবকারীরূপে যথেষ্ট।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৪. সে দিন আমি তাকে বলবো: হে মানুষ! তুমি নিজ বালামটি পড়ো এবং তুমি নিজ আমলগুলোর হিসাব নিজেই করো। কিয়ামতের দিবসে নিজ হিসেবের জন্য তুমি নিজেই যথেষ্ট।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


( তাকে বলা হবে, ) ‘তুমি তোমার কিতাব ( আমলনামা ) পাঠ কর; আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব-নিকাশের জন্য যথেষ্ট।’

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


'তুমি তোমার কিতাব পাঠ করো, আজ তুমি নিজেই তোমার হিসেব-নিকেশের জন্য যথেষ্ট [] [] হাসান বসরী রাহেমাহুল্লাহ বলেনঃ ‘আল্লাহর শপথ করে বলছি, যিনি তোমার হিসাবের ভার তোমার কাছেই অৰ্পণ করেছেন তিনি অবশ্যই তোমার সাথে সবচেয়ে বড় ইনসাফের কাজ করেছেন।’ [ ইবনকাসীর ] কাতাদা রাহেমাহুল্লাহ বলেনঃ সেদিন সবাই তাদের আমলনামা পড়তে পারবে। যদিও সে দুনিয়াতে নিরক্ষর ছিল। [ তাবারী। ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১৩-১৪ নং আয়াতের তাফসীর উপরের আয়াতে সময়ের বর্ণনা দেয়া হয়েছে যার মধ্যে মানুষ আমল করে থাকে। এখানে আল্লাহ তাআলা বলছেন যে, মানুষ ভাল মন্দ যা কিছু আমল করে তা তার সাথেই সংলগ্ন হয়ে যায়। ভাল কাজের প্রতিদান ভালহবে এবং মন্দ কাজের প্রতিদান মন্দ হবে, তা পরিমাণে যতই কম হোক না কেন। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ যেই ব্যক্তি অনুপরিমাণ সৎ কাজ করবে সে তা দেখতে পাবে । আর যেই ব্যক্তি অনুপরিমাণ মন্দ কাজ করবে সে তা তথায় দেখতে পাবে।” ( ৯৯: ৭-৮ ) মহান আল্লাহ আর এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ যখন গ্রহণকারী ফেরেস্তারা ( মানুষের কার্যাবলী ) গ্রহণ করতে থাকে, যারা ডানে ও বামে উপবিষ্ট আছে । সে কোন কথা মুখ হতে বের করা মাত্র তার নিকটেই একজন রক্ষক ( ফেরে ) প্রস্তুত রয়েছে ( সে লিপিবদ্ধ করে )।” ( ৫০:১৭-১৮ ) আর এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ তোমাদের উপর নিযুক্ত রয়েছে সংরক্ষক ফেরেশতাগণ, সম্মানিত লেখকগণ, যারা তোমাদের সমুদয় কার্যকলাপ অবগত আছে ।( ৮২:১০-১২ ) অন্য এক জায়গায় আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “ তোমাদেরকে শুধু তোমাদের কৃত কর্মেরই প্রতিদান দেয়া হবে ।” আর এক জায়গায় বলেনঃ “ প্রত্যেক মন্দকর্মকারীকে শাস্তি দেয়া হবে ।” উদ্দেশ্য এই যে, আদম সন্তানের ছোট বড়, গোপনীয়, প্রকাশ্য, ভাল, মন্দ কাজ , সকাল, সন্ধ্যা, দিন ও রাত অনবরতই লিখে নেয়া হয়।মুসনাদে আহমদে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ অবশ্যই প্রত্যেক মানুষের আমলের বোঝা তার গ্রীবাদেশে রয়েছে ।” ইবনু লাহীআহ বলেন যে, এমন কি ভাবী শুভাশুভের লক্ষণ গ্রহণ করাও।” ( হাদীসের এই ব্যাখ্যা গারীব বা দুর্বল )মানুষের আমলের সমষ্টির কিতাবখানা ( আমলনামা ) কিয়ামতের দিন তার ডান হাতে দেয়া হবে অথবা বাম হাতে দেয়া হবে। সৎ লোকদেরকে তাদের। আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে এবং মন্দলোকদেরকে তাদের আমলনামা। বাম হাতে দেয়া হবে। এই আমলনামা খোলা থাকবে, যেন সে নিজে পাঠ করে এবং অন্যেরাও দেখে নেয়। তার সারা জীবনের সমস্ত আমল তাতে লিখিত থাকবে। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ সেই দিন মানুষকে তার সমস্ত পূর্বকৃত ও পরেকৃত কার্যাবলী জানিয়ে দেয়া হবে । বরং মানুষ নিজেই নিজের অবস্থা সম্বন্ধে খুব অবহিতহবে, যদিও সে নিজের ওজরসমূহ পেশ করবে।” ( ১৩:১৪-১৫ ) ঐ সময় তাকে বলা হবেঃ তুমি ভালরূপেই জান যে, তোমার উপর জুলুম করা হবে না। এতে ওটাই লিখা আছে যা তুমি করেছে। সেই বিস্মরণ হওয়া জিনিসও স্মরণ হয়ে যাবে সেই কারণে প্রকৃতপক্ষে কোন ওযর পেশ করার সুযোগই থাকবে না। তাছাড়া সামনে কিতাব ( আমলনামা ) থাকবে যা সে পড়ে থাকবে। যদিও দুনিয়ায় সে মুখ ও নিরক্ষর থেকে থাকে, তথাপি সেই দিন সে পড়তে পারবে।এখানে গ্রীবাকে বিশিষ্ট করার কারণ এই যে, ওটা এমন একটা বিশেষ অংশ যাতে যে জিনিস লটকিয়ে দেয়া হয় তা ওর সাথে সংলগ্ন থাকে। কবিরাও এই ধারণা প্রকাশ করেছেন। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেন যে, রোগ সংক্রামক হওয়া কোন কথা নয় এবং শুভাশুভ নিরূপণও কোন জিনিস নয়। প্রত্যেক মানুষের আমল তার গলার হার স্বরূপ।”আর একটি রিওয়াইয়াতে রয়েছে যে, শুভাশুভ নিরূপণ হচ্ছে প্রত্যেক মানুষের গলার হার। রাসূলুল্লাহ( সঃ ) উক্তি রয়েছে যে, প্রত্যেক দিনের আমলের উপর মোহর মেরে দেয়া হয়। যখন মু'মিন রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে তখন ফেরেস্তাগণ বলেনঃ “ হে আল্লাহ! আপনি তো অমুককে আমল থেকে বিরত রেখেছেন?” উত্তরে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ“ যার যে আমল ছিল তা বরাবর লিখেই যাও, যে পর্যন্ত না আমি তাকে সুস্থ করে তুলি অথবা তার মৃত্যু ঘটাই ।”কাতাদা ( রঃ ) বলেন যে, এই আয়াত ( আরবি ) দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে আমল। হযরত হাসান বসরী ( রঃ ) বলেন যে, আদম সন্তানকে সম্বোধন করে বলা হয়ঃ “ হে আদম সন্তান! তোমার ডানে ও বামে ফেরে বসে রয়েছে এবং সহীফা ( ক্ষুদ্র পুস্তিকা ) খুলে রেখেছে । ডান দিকের ফেরেস্তারা পূণ্য লিখছে এবং বাম দিকের গুলো পাপ লিখছে। এখন তোমার ইচ্ছা, হয় তুমি বেশী পূণ্যের কাজ কর অথবা বেশী পাপের কাজ কর। তোমার মৃত্যুর পর এই দফতর জড়িয়ে নেয়া হবে এবং তোমার কবরে তোমার গ্রীবাদেশে লটকিয়ে দেয়া হবে। কিয়ামতের দিন খোলা অবস্থায় তোমার সামনে পেশ করা হবে এবং তোমাকে বলা হবেঃ “ তোমার আমলনামা তুমি স্বয়ং পাঠ কর এবং তুমি নিজেই তোমার হিসাব ও বিচার কর ।আল্লাহর কসম! তিনি বড়ই ন্যায় বিচারক, যিনি তোমার কাজ কারবার তোমার উপর অর্পণ করেছেন।

সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 14 সূরা

اقرأ كتابك كفى بنفسك اليوم عليك حسيبا

سورة: الإسراء - آية: ( 14 )  - جزء: ( 15 )  -  صفحة: ( 283 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. ক্রোধে জাহান্নাম যেন ফেটে পড়বে। যখনই তাতে কোন সম্প্রদায় নিক্ষিপ্ত হবে তখন তাদেরকে তার সিপাহীরা
  2. ত্বা, সীন, মীম।
  3. যেদিন মানুষ নিশ্চিত সেই ভয়াবহ আওয়াজ শুনতে পাবে, সেদিনই পুনরত্থান দিবস।
  4. যারা সৎপথপ্রাপ্ত হয়েছে, তাদের সৎপথপ্রাপ্তি আরও বেড়ে যায় এবং আল্লাহ তাদেরকে তাকওয়া দান করেন।
  5. ভয় কর তাঁকে, যিনি তোমাদেরকে সেসব বস্তু দিয়েছেন, যা তোমরা জান।
  6. বলুনঃ পূর্ববর্তী ও পরবর্তীগণ,
  7. যে কেউ আল্লাহর পথে দেশত্যাগ করে, সে এর বিনিময়ে অনেক স্থান ও সচ্ছলতা প্রাপ্ত হবে।
  8. আমি মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি।
  9. এবং যিনি তৃণাদি উৎপন্ন করেছেন,
  10. কিতাবের জ্ঞান যার ছিল, সে বলল, আপনার দিকে আপনার চোখের পলক ফেলার পূর্বেই আমি তা

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বনী ইসরাঈল ডাউনলোড করুন:

সূরা Al Isra mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Al Isra শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers