কোরান সূরা মু'মিনুন আয়াত 17 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Muminun ayat 17 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মু'মিনুন আয়াত 17 আরবি পাঠে(Muminun).
  
   

﴿وَلَقَدْ خَلَقْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعَ طَرَائِقَ وَمَا كُنَّا عَنِ الْخَلْقِ غَافِلِينَ﴾
[ المؤمنون: 17]

আমি তোমাদের উপর সুপ্তপথ সৃষ্টি করেছি এবং আমি সৃষ্টি সম্বন্ধে অনবধান নই। [সূরা মু'মিনুন: 17]

Surah Al-Muminun in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Muminun ayat 17


আর আমরা নিশ্চয়ই তোমাদের উপরে সৃষ্টি করেছি সাতটি পথ, আর সৃষ্টি সন্বন্ধে আমরা কখনও উদাসীন নই।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৭. হে মানুষ! নিশ্চয়ই আমি তোমাদের উপর একের উপর আরেকটি করে সাতটি আকাশ তৈরি করেছি। বস্তুতঃ আমি কখনো আমার সৃষ্টি থেকে গাফিল ছিলাম না। না তাকে কখনো ভুলে গিয়েছিলাম।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


নিশ্চয় আমি তোমাদের ঊর্ধ্বে সৃষ্টি করেছি সপ্ত স্তর[১] এবং আমি সৃষ্টি বিষয়ে অসতর্ক নই। [২] [১] طَرائِق শব্দটি طَرِيقَة এর বহুবচন। যার ভাবার্থঃ আকাশ। আরবের লোকেরা উপরের জিনিসকে طَرِيقَة বলে থাকে। আর আকাশ যেহেতু উপরে সেই জন্য তাকেও طَرائِق বলা হয়েছে। অথবা طَرِيقَة এর অর্থ পথ। যেহেতু আকাশ ফিরিশতাদের যাতায়াতের পথ বা গ্রহ-নক্ষত্রের গমনাগমনের পথ ( ছায়াপথ )। সেই জন্য তাকে طَرائِق বলে অভিহিত করা হয়েছে। [২] خَلق ( সৃষ্টি ) থেকে উদ্দেশ্য مَخلُوق ( সৃষ্ট )। অর্থাৎ, আসমান সৃষ্টি করার পর পৃথিবীর সৃষ্টি বিষয়ে উদাসীন হয়ে যাইনি। বরং আমি আসমানকে যমীনের উপর ভেঙ্গে পড়া হতে সুরক্ষিত রেখেছি; যাতে সৃষ্টিজগৎ ধ্বংস হয়ে না যায়। অথবা অর্থ এই যে, আমি সৃষ্টি জগতের কল্যাণ ও প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে উদাসীন নই; বরং আমি তার ব্যবস্থা করে থাকি। ( ফাতহুল কাদীর ) আবার কেউ বলেন যে, এর অর্থ হল পৃথিবী হতে যা কিছু উদগত হয় বা যা কিছু তাতে প্রবেশ করে এবং এমনিভাবে আকাশ হতে যা কিছু অবতীর্ণ হয় এবং যা কিছু উপরে চড়ে সব কিছুর জ্ঞান আল্লাহর রয়েছে। প্রতিটি জিনিস তিনি প্রত্যক্ষ করছেন এবং নিজ জ্ঞান দ্বারা সর্বত্র তোমাদের সাথে রয়েছেন। ( ইবনে কাসীর )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর অবশ্যই আমরা তোমাদের ঊর্ধ্বে সৃষ্টি করেছি সাতটি আসমান [] এবং আমরা সৃষ্টি বিষয়ে মোটেই উদাসীন নই [], [] মানুষ সৃষ্টির কথা আলোচনা করার পর সাত আসমান সৃষ্টি করার আলোচনা করা হচ্ছে। সাধারণতঃ যখনই আল্লাহ্‌ আসমান যমীনের সৃষ্টির কথা আলোচনা করেন, তখনই মানুষ সৃষ্টির কথা আলোচনা করেন। যেমন, আল্লাহ্‌ বলেন, “ মানুষ সৃষ্টি অপেক্ষা আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি অবশ্যই বড় বিষয়, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না ।’’ [ সূরা গাফিরঃ ৫৭ ] অনুরূপভাবে সূরা আস-সাজদাহ এর ৪-৯ আয়াতসমূহ। [ ইবন কাসীর ] আকাশ সৃষ্টির আলোচনায় বলা হয়েছে যে, “ আমরা তো তোমাদের ঊর্ধ্বে সৃষ্টি করেছি সাতটি طراءق । এ طراءق শব্দটি طريقة শব্দের বহুবচন। এর মানে পথও হয় আবার স্তরও হয়। [ কুরতুবী ] যদি প্রথম অর্থটি গ্রহণ করা হয় এখানে রাস্তা বলতে ফেরেশতাদের চলাচলের পথ বুঝানো হয়েছে। কারণ, সবগুলো আসমান বিধানাবলী নিয়ে যমীনে যাতায়াতকারী ফেরেশতাদের পথ। [ বাগভী; কুরতুবী ] আর যদি দ্বিতীয় অর্থটি গ্রহণ করা হয় তাহলে طراءق এর অর্থ তাই হবে যা سَبعَ سَمٰوٰتٍ طِبَاتًا বা সাতটি আকাশ স্তরে স্তরে [ সূরা আল-মুলকঃ ৩; নূহঃ ১৫ ] এর অর্থ হয়। অর্থাৎ স্তরে স্তরে সাত আসমান তোমাদের ঊর্ধ্বে সৃষ্টি করা হয়েছে, এর দ্বারা যেন এ কথা বলাই উদ্দেশ্য যে, তোমাদের চাইতে বড় জিনিস আমি নির্মাণ করেছি সেটা হলো, এ আকাশ। মুজাহিদ বলেন, এখানে সাত আসমানই বলা উদ্দেশ্য। যেমন অন্য আয়াতে এসেছে, “ সাত আসমান ও যমীন এবং এগুলোর অন্তর্বর্তী সব কিছু তাঁরই পবিত্ৰতা ও মহিমা ঘোষণা করে’’ । [ সূরা আল-ইস রাঃ ৪৪ ] [ ইবন কাসীর ] [] এর অর্থ আমি যা কিছুই সৃষ্টি করেছি তাদের কারোর কোন প্রয়োজন থেকে আমি কখনো গাফিল এবং কোন অবস্থা থেকে কখনো বেখবর থাকিনি। প্রত্যেকটি বিন্দু, বালুকণা ও পত্র-পল্লবের অবস্থা আমি অবগত থেকেছি। আমি মানুষকে শুধু সৃষ্টি করেই ছেড়ে দেইনি। আমি তাদের ব্যাপারে বেখবরও হতে পারি না; বরং তাদের পালন, বসবাস ও সুখের সরঞ্জামও সরবরাহ করেছি। আকাশ সৃষ্টি দ্বারা এ কাজের সূচনা হয়েছে। এরপর আকাশ থেকে বারিবর্ষণ করে মানুষের জন্যে খাদ্য ও ফল-ফুল দ্বারা সুখের সরঞ্জাম সৃষ্টি করেছি। [ দেখুন, কুরতুবী ] অথবা আয়াতের অর্থ, আমি আমার সৃষ্টি সম্পর্কে কখনো গাফেল নই। আমি আমার সৃষ্টির সবকিছু জানি। যমীনে যা প্রবেশ করে, যমীন থেকে যা বের হয়, আকাশ থেকে যা নাযিল হয়, যা আকাশে উঠে, তিনি সবই জানেন। তোমরা যেখানেই থাক সেখানেই তোমরা তাঁর জ্ঞানের আওতাভুক্ত। আর তোমরা যা আমল কর আল্লাহ্‌ তা সম্যক দেখছেন। তিনি এমন এক সত্তা, কোন আসমান অপর আসমানের, কোন যমীন অপর যমীনের মধ্যে তার দৃষ্টিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। কোন পাহাড়ের কঠিন স্থানে, কোন সমুদ্রের গভীর কোণে কি আছে সবই পরিমাণ কত সবই তাঁর জানা। পাহাড়ে, টিলায়, বালু, সমুদ্রে, মরুভূমিতে, গাছে কি আছে আর পরিমাণ কত সবই তিনি জানেন। [ ইবন কাসীর ] আল্লাহ্‌ বলেন, “ স্থল ও সমুদ্রের অন্ধকারসমূহে যা কিছু আছে তা তিনিই অবগত, তাঁর অজানায় একটি পাতাও পড়ে না । মাটির অন্ধকারে এমন কোন শস্যকণাও অংকুরিত হয় না বা রসযুক্ত কিংবা শুস্ক এমন কোন বস্তু নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে নেই।” [ সূরা আল-আন‘আমঃ ৫৯ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


মানব সৃষ্টি সম্পর্কে আলোচনা করার পর আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা আকাশসমূহের সৃষ্টির বর্ণনা দিচ্ছেন। মানব সৃষ্টির তুলনায় আকাশসমূহের সৃষ্টি বহুগুণে বেশী শিল্প চাতুর্যের পরিচায়ক। সূরায়ে আলিফ-লাম-মীম সাজদাহতেও এরই বর্ণনা রয়েছে। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) জুমআর দিন ফজরের নামাযের প্রথম রাকআতে এই সূরাটি পাঠ করতেন। সেখানে প্রথমে আসমান ও যমীনের সষ্টি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তারপর মানব সৃষ্টির বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এরপর পুরস্কার ও শাস্তি প্রদান সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে।এখানে মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি তো তোমাদের উর্ধ্বে সৃষ্টি করেছি সপ্তস্তর। যেমন তিনি অন্য জায়গায় বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ সপ্ত আকাশ ও যমীন এবং এতোদুভয়ের মধ্যে যত কিছু রয়েছে সবই তার মহিমা কীর্তন করে ।( ১৭:৪৪ ) অন্য এক স্থানে রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তারা কি দেখেনি যে, কিভাবে আল্লাহ সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন?” ( ৭১:১৫ ) আর এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন সপ্ত আকাশ এবং পৃথিবীও ওগুলোর মতই, ওগুলোর মধ্যে নেমে আসে তাঁর নির্দেশ; ফলে তোমরা বুঝতে পার যে, আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান এবং জ্ঞানে আল্লাহ সবকিছুকে পরিবেষ্টন করে আছেন ।( ৬৫: ১২ )আল্লাহ পাক বলেনঃ আমি সৃষ্টি বিষয়ে অসতর্ক নই। অর্থাৎ তিনি জানেন যা কিছু ভূমিতে প্রবেশ করে ও যা কিছু তা হতে বের হয় এবং আকাশ হতে যা কিছু নামে ও আকাশে যা কিছু উথিত হয়। তোমরা যেখানেই থাক না কেন তিনি তোমাদের সাথে আছেন; তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ তা দেখেন। আকাশের উচ্চ হতে উচ্চতম স্থানে অবস্থিত জিনিস, যমীনের গোপনীয় জিনিস, পর্বতের শৃঙ্গ, সমুদ্রের তলদেশ ইত্যাদি সবকিছুই তাঁর সামনে প্রকাশমান। পাহাড়-পর্বত-টিলা, মরুভূমি, সমুদ্র, ময়দান ইত্যাদি সবকিছুরই খবর তিনি রাখেন। গাছের এমন কোন পাতা ঝরে পড়ে না যা তাঁর জানা থাকে না, যমীনের অন্ধকারে এমন বীজ নেই যা তাঁর অজানা রয়েছে এবং এমন কোন আর্দ্র ও শুষ্ক জিনিস নেই যা প্রকাশ্য কিতাবে বিদ্যমান নেই।

সূরা মু'মিনুন আয়াত 17 সূরা

ولقد خلقنا فوقكم سبع طرائق وما كنا عن الخلق غافلين

سورة: المؤمنون - آية: ( 17 )  - جزء: ( 18 )  -  صفحة: ( 342 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তার আধিপত্য তো তাদের উপরই চলে, যারা তাকে বন্ধু মনে করে এবং যারা তাকে অংশীদার
  2. ঐ ব্যক্তির চাইতে বড় জালেম কে হবে, যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে অথবা বলেঃ
  3. তোমাদের প্রত্যেক অনুরাগী ও স্মরণকারীকে এরই প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল।
  4. সুসংবাদদাতা ও ভীতি-প্রদর্শনকারী রসূলগণকে প্রেরণ করেছি, যাতে রসূলগণের পরে আল্লাহর প্রতি অপবাদ আরোপ করার মত
  5. বরং তারা বলে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছি এক পথের পথিক এবং আমরা তাদেরই পদাংক অনুসরণ
  6. তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো
  7. আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম, অতঃপর তাতে মতভেদ সৃষ্টি হয়। আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে পূর্ব সিদ্ধান্ত
  8. বরং তারা আজকের দিনে আত্নসমর্পণকারী।
  9. যদি তারা ঈমান আনত এবং খোদাভীরু হত, তবে আল্লাহর কাছ থেকে উত্তম প্রতিদান পেত। যদি
  10. সে তো এমন ব্যক্তি বৈ নয়, যে আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা উদ্ভাবন করেছে এবং আমরা তাকে

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মু'মিনুন ডাউনলোড করুন:

সূরা Muminun mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Muminun শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, June 3, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب