কোরান সূরা নিসা আয়াত 78 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Nisa ayat 78 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা নিসা আয়াত 78 আরবি পাঠে(Nisa).
  
   

﴿أَيْنَمَا تَكُونُوا يُدْرِككُّمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنتُمْ فِي بُرُوجٍ مُّشَيَّدَةٍ ۗ وَإِن تُصِبْهُمْ حَسَنَةٌ يَقُولُوا هَٰذِهِ مِنْ عِندِ اللَّهِ ۖ وَإِن تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ يَقُولُوا هَٰذِهِ مِنْ عِندِكَ ۚ قُلْ كُلٌّ مِّنْ عِندِ اللَّهِ ۖ فَمَالِ هَٰؤُلَاءِ الْقَوْمِ لَا يَكَادُونَ يَفْقَهُونَ حَدِيثًا﴾
[ النساء: 78]

তোমরা যেখানেই থাক না কেন; মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও। বস্তুতঃ তাদের কোন কল্যাণ সাধিত হলে তারা বলে যে, এটা সাধিত হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর যদি তাদের কোন অকল্যাণ হয়, তবে বলে, এটা হয়েছে তোমার পক্ষ থেকে, বলে দাও, এসবই আল্লাহর পক্ষ থেকে। পক্ষান্তরে তাদের পরিণতি কি হবে, যারা কখনও কোন কথা বুঝতে চেষ্টা করে না। [সূরা নিসা: 78]

Surah An-Nisa in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Nisa ayat 78


ভালো যা কিছু তোমার ঘটে তা কিন্তু আল্লাহর কাছ থেকে, আর মন্দ বিষয় থেকে যা কিছু তোমার ঘটে তা কিন্তু তোমার নিজের থেকে। আর আমরা তোমাকে মানবগোষ্ঠীর জন্য রসূলরূপে পাঠিয়েছি। আর সাক্ষীরূপে আল্লাহ্‌ই যথেষ্ট।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৭৮. তোমরা যেখানেই থাকো না কেন সময় হলে মৃত্যু তোমাদেরকে পাবেই। যদিও তোমরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বহু দূরে সংরক্ষিত অট্টালিকায় থাকো না কেন। এ মুনাফিকদের যদি কোন খুশির খবর তথা সন্তান ও প্রচুর রিযিক মিলে তখন তারা বলে: এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর যদি তাদের সন্তান বা রিযিকের ব্যাপারে কোন সঙ্কট লেগে যায় তখন তারা নবী ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কে অমঙ্গলের কারণ মনে করে বলে: এটি তোমারই কারণে। হে রাসূল! আপনি এদের উত্তরে বলে দিন, প্রত্যেক সুখ ও দুঃখ আল্লাহর তাকদীর ও তাঁর ফায়সালা অনুযায়ী হয়ে থাকে। যাদের থেকে এ কথাটি বের হলো তাদের কী হলো; তারা কি আপনার কথা বুঝতে সক্ষম নয়?

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবেই; যদিও তোমরা সুউচ্চ সুদৃঢ় দুর্গে অবস্থান কর। [১] আর যদি তাদের কোন কল্যাণ হয়, তাহলে তারা বলে, এ তো আল্লাহর নিকট থেকে, আর যদি তাদের কোন অকল্যাণ হয়, তাহলে তারা বলে, এ তো তোমার নিকট থেকে।[২] বল, সব কিছুই আল্লাহর নিকট থেকে। এ সম্প্রদায়ের কি হয়েছে যে, এরা একেবারেই কোন কথা বোঝে না।[৩] [১] দুর্বল মুসলিমদেরকে বুঝানো হচ্ছে যে, প্রথমতঃ যে দুনিয়ার জন্য তোমরা অবকাশ কামনা করছ, সে দুনিয়া হল ধ্বংসশীল এবং তার ভোগ-সামগ্রী ক্ষণস্থায়ী। এর তুলনায় আখেরাত অতি উত্তম এবং চিরস্থায়ী। আল্লাহর আনুগত্য না করে থাকলে সেখানে তোমাদেরকে শাস্তি পেতে হবে। দ্বিতীয়তঃ জিহাদ কর আর না কর, মৃত্যু তো তার নির্ধারিত সময়েই আসবে; যদিও তোমরা কোন সুদৃঢ় দুর্গের মধ্যে অবস্থান কর তবুও। অতএব জিহাদ থেকে পশ্চাৎপদ হওয়ার লাভ কি? জ্ঞাতব্যঃ কোন কোন মুসলিমের এই ভয় যেহেতু প্রকৃতিগত ছিল, অনুরূপ যুদ্ধ বিলম্ব হওয়ার আশা প্রকাশ প্রতিবাদ ও অস্বীকৃতিমূলক ছিল না, বরং তাও ছিল প্রকৃতিগত ভয় থেকে সৃষ্ট ফল। এই জন্য মহান আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং বলিষ্ঠ দলীলাদির মাধ্যমে তাদেরকে সাহায্য ও উৎসাহিত করেছেন। [২] এখান থেকে পুনরায় মুনাফিকদের আলোচনা শুরু হচ্ছে। পূর্ববর্তী উম্মতের অস্বীকারকারীদের মত এরাও বলল যে, কল্যাণ ( সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, ভাল ফলনের ফসলাদি এবং ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততির প্রাচুর্য ইত্যাদি ) আল্লাহর পক্ষ হতে এবং অকল্যাণ ( অনাবৃষ্টি এবং ধন-সম্পদের হ্রাস ইত্যাদি ) হে মুহাম্মাদ! এগুলো তোমার পক্ষ হতে। অর্থাৎ, তোমার দ্বীন অবলম্বন করার ফল স্বরূপ এ বিপদ এসেছে। যেমন মূসা ( আঃ ) এবং ফিরআউন ও তার লোক-জনদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন, " যখন তাদের কোন কল্যাণ হত, তখন তারা বলত, 'এতো আমাদের প্রাপ্য।' আর যখন কোন অকল্যাণ হত, তখন তা মূসা ও তার সঙ্গীদেরকে অশুভ কারণরূপে মনে করত। " ( আ'রাফঃ ১৩১ ) ( অর্থাৎ --নাঊযু বিল্লাহ-- এ সব তাঁদের কুলক্ষণের কুফল মনে করে। ) [৩] অর্থাৎ, কল্যাণ-অকল্যাণ উভয়ই আল্লাহর পক্ষ হতে। কিন্তু এরা নিজেদের বিবেক-বুদ্ধির স্বল্পতা এবং মূর্খতা ও যুলুম-অত্যাচারের আধিক্যের কারণে তা বোঝে না।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তোমরা যেখানেই থাক না কেন মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবেই, এমনকি সুউচ্চ সুদৃঢ় দুর্গে অবস্থান করলেও []। যদি তাদের কোন কল্যাণ হয় তবে তারা বলে, ‘এটা আল্লাহর কাছ থেকে’। আর যদি তাদের কোন অকল্যাণ হয় তবে তারা বলে, ‘এটা আপনার কাছ থেকে’ []। বলুন, ‘সবকিছুই আল্লাহর কাছ থেকে’ []। এ সম্প্রদায়ের কি হল যে, এরা একেবারেই কোন কথা বুঝে না! [] আয়াতে বলা হয়েছে যে, তোমাদের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা সুদৃঢ় প্রাসাদে হলেও মৃত্যু তোমাদেরকে বরণ করতেই হবে। এতে বোঝা যাচ্ছে যে, বসবাস করার জন্য কিংবা ধন-সম্পদের হেফাজতের উদ্দেশ্যে সুদৃঢ় ও উত্তম গৃহ নিৰ্মাণ করা তাওয়াক্কুল বা ভরসার পরিপন্থী কিংবা শরী’আত বিরুদ্ধ নয়। [ কুরতুবী ] [] ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, এখানে কল্যাণ দ্বারা বদরের যুদ্ধে বিজয় ও গনীমত লাভ বোঝানো হয়েছে। পক্ষান্তরে অকল্যাণ দ্বারা ওহুদের যুদ্ধে যে বিপদ সংঘটিত হয়েছিল, যাতে রাসূলের চেহারা মুবারকে ক্ষত হয়ে গিয়েছিল এবং তাঁর দাঁত ভেঙ্গে গিয়েছিল তা বোঝানো হয়েছে। [ তাবারী ] [] এ আয়াতে বলা হয়েছে যে, সবকিছুই আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় । কিন্তু এর পরবর্তী আয়াতে বলা হয়েছে যে, ভাল কাজ হলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে, আর মন্দ কাজ হলে তা বান্দার পক্ষ থেকে। এর কারণ হলো আল্লাহর ইচ্ছা দু’প্রকার, ( এক ) সৃষ্টিগত সাধারণ ইচ্ছা, যার সাথে আল্লাহর সন্তুষ্টি থাকা বাধ্যতামূলক নয়। ( দুই ) শরীআতগত বিশেষ ইচ্ছা, যার সাথে সন্তুষ্ট থাকা অবশ্য জরুরী। আলোচ্য এ আয়াতে আল্লাহর সাধারণ ইচ্ছার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহর সৃষ্টিতে আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কিছুই হয় না। কিন্তু খারাপ কিছুর ব্যাপারে আল্লাহর সন্তুষ্টি থাকে না। তিনি শুধু ভাল কাজেই সন্তুষ্ট হন। খারাপ পরিণতি বান্দার কর্মকাণ্ডের ফল। বান্দা যখন খারাপ কাজ করে তখন আল্লাহ তা হতে দেন যদিও তাতে তিনি সন্তুষ্ট হন না। এর বিপরীতে বান্দা যখন ভাল কাজ করেন তখন আল্লাহ তা’আলা তা হতে দেয়ার পাশাপাশি তাতে সন্তুষ্টও হন। সুতরাং বুঝা যাচ্ছে খারাপ পরিণতির দায়-দায়ীত্ব কেবল বান্দার দিকেই সম্পর্কযুক্ত করা যাবে, আল্লাহর দিকে সম্পর্কযুক্ত করা জায়েয নেই। [ মাজমু ফাতাওয়া ইবন তাইমিয়্যাহ ]

সূরা নিসা আয়াত 78 সূরা

أينما تكونوا يدرككم الموت ولو كنتم في بروج مشيدة وإن تصبهم حسنة يقولوا هذه من عند الله وإن تصبهم سيئة يقولوا هذه من عندك قل كل من عند الله فمال هؤلاء القوم لا يكادون يفقهون حديثا

سورة: النساء - آية: ( 78 )  - جزء: ( 5 )  -  صفحة: ( 90 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. ইঞ্জিলের অধিকারীদের উচিত, আল্লাহ তাতে যা অবতীর্ণ করেছেন। তদানুযায়ী ফয়সালা করা। যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ
  2. আল্লাহ বলবেনঃ তোমরা ধিকৃত অবস্থায় এখানেই পড়ে থাক এবং আমার সাথে কোন কথা বলো না।
  3. মানুষকে তাদের বস্তু কম দিও না এবং পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করে ফিরো না।
  4. পক্ষান্তরে তোমাদের প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন অনুগ্রহ আসলে তারা এমন ভাবে বলতে শুরু করবে
  5. যাদেরকে তারা আহবান করে, তারা নিজেরাই তো তাদের পালনকর্তার নৈকট্য লাভের জন্য মধ্যস্থ তালাশ করে
  6. তিনি জানেন যা তাদের সামনে আছে এবং যা পশ্চাতে আছে এবং সবকিছু আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তিত
  7. যারা যাকাত দান করে থাকে
  8. তিনি জানেন যা কিছু তাদের সামনে ও পশ্চাতে আছে এবং তারা তাকে জ্ঞান দ্বারা আয়ত্ত
  9. এটা এ কারণে যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। যে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করে,
  10. বলুন, তোমরা কি ভেবে দেখেছ-যদি আল্লাহ তা’আলা আমাকে ও আমার সংগীদেরকে ধ্বংস করেন অথবা আমাদের

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা নিসা ডাউনলোড করুন:

সূরা Nisa mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Nisa শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত নিসা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত নিসা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত নিসা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত নিসা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত নিসা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত নিসা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত নিসা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত নিসা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত নিসা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত নিসা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত নিসা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত নিসা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত নিসা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত নিসা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত নিসা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত নিসা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত নিসা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত নিসা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত নিসা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত নিসা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত নিসা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত নিসা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত নিসা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত নিসা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত নিসা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers