কোরান সূরা বাকারাহ্ আয়াত 199 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Baqarah ayat 199 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বাকারাহ্ আয়াত 199 আরবি পাঠে(Baqarah).
  
   

﴿ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ وَاسْتَغْفِرُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ﴾
[ البقرة: 199]

অতঃপর তওয়াফের জন্যে দ্রুতগতিতে সেখান থেকে ফিরে আস, যেখান থেকে সবাই ফিরে। আর আল্লাহর কাছেই মাগফেরাত কামনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাকারী, করুনাময়। [সূরা বাকারাহ্: 199]

Surah Al-Baqarah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Baqarah ayat 199


তারপর তোমরা তাড়াতাড়ি চল যেখান থেকে জনতা এগিয়ে চলে, আর আল্লাহ্‌র কাছে পরিত্রাণ খোঁজো, নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ ত্রাণকর্তা, অফুরন্ত ফলদাতা।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৯৯. অতঃপর তোমরা আরাফাত থেকে রওয়ানা করো যা ইব্রাহীম ( আলাইহিস-সালাম ) এর অনুসারী লোকেরা করতো। জাহিলী যুগের লোকদের ন্যায় করো না যারা সেখানে অবস্থান করতো না। আর তোমরা শরীয়ত পালনে যে কোন ত্রæটির জন্য আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর তাওবাকারী বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


অতঃপর ( কুরাইশের মত আরাফাত না গিয়েই কেবল মুযদালিফা থেকে না ফিরে অন্য ) লোকেরা যেখান থেকে ফিরে, সেখান থেকেই ( আরাফাত থেকে মুযদালিফায় ) ফিরে চল।[১] আর আল্লাহর কাছে মার্জনা চাও; বস্তুতঃ আল্লাহ চরম মার্জনাকারী, পরম দয়ালু। [১] উল্লিখিত ক্রমানুসারে আরাফায় যাওয়া এবং সেখানে অবস্থান করে ফিরে আসা জরুরী। কিন্তু আরাফা যেহেতু হারামের বাইরে তাই মক্কার কুরাইশরা আরাফা পর্যন্ত যেতো না, বরং মুযদালিফা থেকেই ফিরে আসতো। তাই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে, যেখান থেকে সবাই ফিরে আসে, সেখান থেকে তোমরাও ফিরে এসো। অর্থাৎ, আরাফাত থেকে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তারপর অন্যান্য লোক যেখান থেকে ফিরে আসে তোমরাও সে স্থান থেকে ফিরে আসবে []। আর আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা চাও। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ ক্ষমাশিল, পরম দয়ালু। [] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সমস্ত আরাফাই অবস্থানের স্থান এবং উরনা উপত্যকা থেকে বের হয়ে যাও। আর মুযদালফার সমস্ত জায়গাই অবস্থানস্থল এবং আর তোমরা ওয়াদী মুহাস্‌সার থেকে প্রস্থান করো। আর মক্কার প্রতিটি অলিগলিই যবেহ করার জায়গা এবং আইয়ামে তাশরীকের প্রতিদিনই যবেহ করা যাবে। [ মুসনাদে আহমাদ: ৪/৮২ ] অন্য হাদীসে এসেছে, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, ‘কুরাইশ ও তাদের মতানুসারীরা মুযদালফায় অবস্থান করত এবং নিজেদেরকে হুমুস’ নামে অভিহিত করতো। আর বাকী সব আরবরা আরাফায় অবস্থান করতো। অতঃপর যখন ইসলাম আসলো তখন আল্লাহ্‌ তাঁর নবীকে আরাফাতে যেতে, সেখানে অবস্থান করতে এবং সেখান থেকেই প্রস্থান করতে নির্দেশ দান করেন। এ জন্যই এ আয়াতে মানুষের সাথে ফিরে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। [ বুখারী ৪৫২০, মুসলিম: ১২১৯ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


( আরবি ) শব্দটি ( আরবি ) এখানে ( আরবি )-এর উপর -এর সংযোগ স্থাপনের জন্যে এসেছে, যেন শৃংখলা বজায় থাকে। আরাফায় অবস্থানকারীদেরকে যেন নির্দেশ দেয়া হচ্ছে যে, তারা এখান থেকে মুযদালিফায় যাবে, যেন মাশআরে হারামের নিকট আল্লাহ তা'আলাকে স্মরণ করতে পারে। এটাও তাদেরকে বলা হচ্ছে যে, তারা সমস্ত লোকের সাথে আরাফাতে অবস্থান করবে, যেমন সর্বসাধারণ এখানে অবস্থান করতো। তবে অবশ্যই কুরাইশরা তাদের গৌরব ও আভিজাত্য প্রকাশের জন্যে এই অবস্থান করে থাকতো। তারা হারাম শরীফের সীমা হতে বাইরে যেতো না এবং ‘হারামে’র শেষ সীমায় অবস্থান করতো এবং বলতো: ‘আমরা আল্লাহর ভক্ত এবং তাঁরই শহরের আমরা নেতা ও তারই ঘরের খাদেম।'সহীহ বুখারী শরীফে রয়েছে যে, কুরাইশ ও তাদের মতানুসারী লোকেরা মুযদালিফাতেই থেমে যেতো এবং নিজেদের নাম ( আরবি ) রাখতো। অবশিষ্ট সমস্ত আরববাসী আরাফায় গিয়ে অবস্থান করতো এবং ওখান হতে ফিরে আসতো। এজন্যেই ইসলাম নির্দেশ দিয়েছে যে, সর্বসাধারণ যেখান হতে প্রত্যাবর্তন করতো, তোমরা সেখান হতে প্রত্যাবর্তন কর। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ), হযরত মুজাহিদ ( রাঃ ), হযরত আতা ( রঃ ), হযরত কাতাদাহ ( রঃ ), হযরত সুদ্দী ( রঃ ) প্রভৃতি মনীষীও এটাই বলেন। ইমাম ইবনে জারীর ( রঃ )ও এই তাফসীরই পছন্দ করেছেন এবং বলেছেন যে, এর উপর ইজমা রয়েছে। মুসনাদ-ই-আহমাদের মধ্যে রয়েছে যে, হযরত যুবাইর বিন মুতইম ( রাঃ ) বলেনঃ “ আমার উট আরাফায় হারিয়ে যায়, আমি উটটি খুঁজতে বের হই । তথায় আমি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে অবস্থানরত অবস্থায় দেখতে পাই। আমি বলি- এটা কেমন কথা যে, ইনি হচ্ছে ( আরবি ) অথচ হারাম শরীফের বাইরে এসে অবস্থান করছেন। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, এখানে ( আরবি ) শব্দের ভাবার্থ হচ্ছে প্রস্তর নিক্ষেপের উদ্দেশ্যে মুযদালিফা হতে মিনায় যাওয়া।আর ( আরবি ) শব্দ দ্বারা হযরত ইবরাহীম ( আঃ )-কে বুঝানো হয়েছে। কেউ কেউ বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছে ‘ইমাম'। ইমাম ইবনে জারীর ( রঃ ) বলেন যে, যদি এর বিপরীত ইজমা হওয়ার প্রমাণ না থাকতো তবে এই উক্তিটির প্রাধান্য হতো।অতঃপর ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে, যার নির্দেশ সাধারণতঃ ইবাদতের পরে দেয়া হয়ে থাকে। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) ফরয নামায সমাপ্ত করার পর তিনবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন ( সহীহ মুসলিম )। তিনি জনসাধারণকে সুবহানাল্লাহি ‘আল হামদুলিল্লাহি’ এবং আল্লাহু আকবার’ তেত্রিশ বার করে পড়ার নির্দেশ দিতেন ( সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম )। এটাও বর্ণিত আছে যে, আরাফার দিন ( ৯ই যিলহজ্ব ) সন্ধ্যার সময় রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাঁর উম্মতের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ( তাফসীর-ই-ইবনে জারীর )রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর এই ইরশাদও বর্ণিত হয়েছে যে, সমুদয় ক্ষমা প্রার্থনার নেতা হচ্ছে নিম্নের এই প্রার্থনাটিঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! আপনি আমার প্রভু । আপনি ছাড়া কেউ উপাস্য নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনার দাস। আমি সাধ্যানুসারে আপনার আহাদ ও অঙ্গীকারের উপর রয়েছি ।"আমি যে অন্যায় করেছি তা হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। আমার উপর যে আপনার নিয়ামত রয়েছে তা আমি স্বীকার করছি এবং আমার পাপকেও আমি স্বীকার করছি। সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয়ই আপনি ছাড়া আর কেউ ক্ষমা করতে পারে না।” রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেন যে, যে ব্যক্তি এই দু'আটি রাত্রে পড়ে নেবে, যদি সে সেই রাত্রেই মারা যায় তবে সে অবশ্যই বেহেশতী হবে। আর যে ব্যক্তি এটা দিনে পড়বে, যদি ঐ দিনেই সে মৃত্যুবরণ করে তবে অবশ্যই সে জান্নাতী হবে ( সহীহ বুখারী ) হযরত আবু বকর সিদ্দীক ( রাঃ ) একদা বলেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমাকে কোন একটি দু'আ শিখিয়ে দিন যা আমি নামাযে পাঠ করবো ।রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ “ আপনি বলুনঃ ( আরবি )অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আমার জীবনের উপরে বড়ই অত্যাচার করেছি এবং আপনি ছাড়া কেউ ক্ষমা করতে পারে না । সুতরাং আপনি আমাকে আপনার নিকট হতে ক্ষমা করে দিন এবং আমার প্রতি করুণা বর্ষণ করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, করুণাময়।

সূরা বাকারাহ্ আয়াত 199 সূরা

ثم أفيضوا من حيث أفاض الناس واستغفروا الله إن الله غفور رحيم

سورة: البقرة - آية: ( 199 )  - جزء: ( 2 )  -  صفحة: ( 31 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই
  2. সে বলল, হে আমার পালনকর্তা, দুস্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য কর।
  3. এটা অর্থাৎ জাহান্নামীদের পারস্পরিক বাক-বিতন্ডা অবশ্যম্ভাবী।
  4. যেদিন আমি প্রবলভাবে ধৃত করব, সেদিন পুরোপুরি প্রতিশোধ গ্রহণ করবই।
  5. এবং অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে ধুলি ধূসরিত।
  6. তিনি আসমান সমূহ, যমীনও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা এবং পালনকর্তা উদয়াচলসমূহের।
  7. তারাই নৈকট্যশীল,
  8. এবং তোমাদের উপর আমাদের কোন কতৃত্ব ছিল না, বরং তোমরাই ছিলে সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।
  9. যে গোনাহ, করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে
  10. মানুষের কাছে কি আশ্চর্য লাগছে যে, আমি ওহী পাঠিয়েছি তাদেরই মধ্য থেকে একজনের কাছে যেন

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বাকারাহ্ ডাউনলোড করুন:

সূরা Baqarah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Baqarah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Saturday, May 18, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب