কোরান সূরা রূম আয়াত 27 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Rum ayat 27 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা রূম আয়াত 27 আরবি পাঠে(Rum).
  
   

﴿وَهُوَ الَّذِي يَبْدَأُ الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيدُهُ وَهُوَ أَهْوَنُ عَلَيْهِ ۚ وَلَهُ الْمَثَلُ الْأَعْلَىٰ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ﴾
[ الروم: 27]

তিনিই প্রথমবার সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনয়ন করেন, অতঃপর তিনি সৃষ্টি করবেন। এটা তাঁর জন্যে সহজ। আকাশ ও পৃথিবীতে সর্বোচ্চ মর্যাদা তাঁরই এবং তিনিই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। [সূরা রূম: 27]

Surah Ar-Rum in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Rum ayat 27


আর তিনিই সেইজন যিনি সৃষ্টির সূচনা করেছেন, তারপর তিনি তা পুনঃসৃষ্টি করেন, আর এটি তাঁর জন্য অতি সহজ। আর তাঁরই হচ্ছে সর্বোচ্চ আদর্শ মহাকাশমন্ডলীতে ও পৃথিবীতে, আর তিনিই হচ্ছেন মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।


Tafsir Mokhtasar Bangla


২৭. তিনি কোনরূপ নমুনা ব্যতিরেকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর এটিকে ধ্বংস করে পুনর্বার তৈরী করবেন। আর পুনর্বার সৃষ্টি করা প্রথমবার সৃষ্টি করা অপেক্ষা সহজতর। বস্তুতঃ উভয় কাজই তাঁর নিকট সহজ। কেননা, তিনি যখন কোন কাজ করতে চান তখন শুধু হও বললেই হয়ে যায়। তাঁর রয়েছে পূর্ণতা ও মাহাত্ম্যের সকল প্রকার গুণাবলী। তিনি অপরাজেয় পরাক্রমশালী এবং তাঁর সৃষ্টি ও পরিচালনায় প্রজ্ঞাবান।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আর তিনিই যিনি প্রথমবার সৃষ্টি করেন, অতঃপর তিনি পুনর্বার একে সৃষ্টি করবেন; এ তাঁর জন্য সহজ। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে সর্বোচ্চ গুণ তাঁরই[১] এবং তিনিই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। [১] অর্থাৎ, এমন পরিপূর্ণ ও সুন্দর গুণগ্রাম এবং পূর্ণ ক্ষমতার অধিপতি যে, তিনি সর্বপ্রকার দৃষ্টান্তের বহু ঊর্ধ্বে।لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ তাঁর মত কোন কিছু নেই। ( সূরা শূরা ৪২:১১ আয়াত )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর তিনি-ই, যিনি সৃষ্টিকে শুরুতে অস্তিত্বে আনয়ন করেন, তারপর তিনি সেটা পুনরাবৃত্তি করবেন; আর এটা তাঁর জন্য অতি সহজ []। আসমানসমূহ ও যমীনে সর্বোচ্চ গুনাগুন তাঁরই []; এবং তিনিই পরাক্রমশালী, হিক্‌মতওয়ালা। [] হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ বলেন, আদম সন্তান আমার প্রতি মিথ্যারোপ করে অথচ এটা করা তার জন্য উচিত ছিল না। অনুরূপ সে আমাকে গালি দেয় অথচ সেটা তার জন্য ঠিক নয়। তার মিথ্যারোপ হচ্ছে এটা বলা যে, “ আমাকে যেভাবে পূর্বে সৃষ্টি করেছেন সেভাবে সৃষ্টি করবে না । অথচ প্রথম সৃষ্টি থেকে দ্বিতীয় সৃষ্টি আরো সহজ’। আর তার গালি হচ্ছে সে বলে ‘আল্লাহ সন্তান গ্ৰহণ করেছেন, অথচ আমি একক, অমুখাপেক্ষী, জন্ম দেইনি, জন্ম নেইনি। আর আমার সমকক্ষ কেউ নেই’ [ বুখারী: ৪৯৭৪ ] [] যত সুন্দর সুন্দর গুণ সবই মহান আল্লাহর রয়েছে। [ ফাতহুল কাদীর ] তাঁর মত কোন কিছুই নেই। [ তাবারী। ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


২৬-২৭ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ আসমান ও যমীনের যাবতীয় সৃষ্টবস্তুর অধিকারী একমাত্র আল্লাহ। সবাই তার দাসী অথবা দাস। সবকিছুর অধিপতি একমাত্র তিনিই। তাঁর সামনে সবকিছুই অসহায়।হযরত আবু সাঈদ ( রাঃ ) হতে মারফু’রূপে বর্ণিত আছেঃ “ কুরআন কারীমে যেখানে কুনূতের উল্লেখ আছে, তার উদ্দেশ্য হচ্ছে আনুগত্য ।”মহান আল্লাহ বলেনঃ “ তিনি সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনয়ন করেন, অতঃপর তিনি এটাকে পুনর্বার সৃষ্টি করবেন ।” পুনর্বারের সৃষ্টি সাধারণতঃ প্রথমবারের সৃষ্টি অপেক্ষা সহজতর হয়ে থাকে। হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “ আদম সন্তান আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে । অথচ তা করা তাদের উচিত নয়। তারা আমাকে গালি দেয়, অথচ এটা তাদের জন্যে মোটই সমীচীন নয়। তাদের আমাকে মিথা প্রতিপন্ন করা এই যে, তারা বলে‘আল্লাহ তা'আলা যেভাবে আমাদেরকে প্রথমে সৃষ্টি করেছেন সেভাবে দ্বিতীয়বার সৃষ্টি করতে পারবেন না। অথচ প্রথমবারের সৃষ্টি অপেক্ষা দ্বিতীয়বারের সৃষ্টি সহজতর। আর তাদের আমাকে গালি দেয়া এই যে, তারা বলে- ‘আল্লাহর সন্তান আছে। অথচ আল্লাহ এক ও অভাব মুক্ত। তার কোন সন্তান নেই এবং তিনিও কারো সন্তান নন এবং তাঁর সমকক্ষ কেউই নেই।” ( এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। মোটকথা, উভয় সৃষ্টিই তার কর্তৃত্বাধীন ও আয়ত্তের মধ্যে রয়েছে। কোন কাজই তার জন্যে কঠিন নয় বা তার শক্তি বহির্ভূত নয়) এটাও হতে পারে যে, সর্বনামটি ( আরবি )-এর দিকে প্রত্যাবর্তিত হয়েছে। এখানে ( আরবি ) দ্বারা আল্লাহ তা'আলার তাওহীদে উলুহিয়্যাত ও তাওহীদে রুবুবিয়্যাত উদ্দেশ্য। অর্থাৎ মা’রূদ হিসেবে তিনি একক এবং প্রতিপালক হিসেবেও তিনি একক। এখানে ( আরবি ) দ্বারা ( আরবি ) বা তুলনা উদ্দেশ্য নয়। কেননা, আল্লাহ তা'আলা তো অতুলনীয়। যেমন আল্লাহ পাক বলেন ( আরবি ) অর্থাৎ “ তাঁর মত বা তাঁর সাথে তুলনীয় কোন কিছুই নেই ।( ৪২:১১ )এই আয়াতটি বর্ণনা করার সময় কোন কোন তাফসীরকার আধ্যাত্মিক জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্যে নিম্নের কবিতাটি রচনা করেছেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ যদি পরিষ্কার ও স্বচ্ছ পানি পুকুরে জমা থাকে ও প্রাতঃসমীরণ ঐ পানিকে আন্দোলিত না করে তবে তাতে আকাশের প্রতিচ্ছবি পরিষ্কারভাবে পরিলক্ষিত হবে এবং সূর্য ও তারকাগুলোকেও ওর মধ্যে স্পষ্টভাবে দেখা যাবে । আধ্যাত্মিক জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিদের অন্তরও ঠিক তদ্রুপ যে, তারা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব, মহিমা ও মর্যাদা সদা অন্তর্চক্ষু দিয়ে দেখতে পান।”এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ তিনিই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। তাঁর উপর কারো অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। সবাই তার অধীনস্থ। প্রত্যেকেই তাঁর সামনে শক্তিহীন ও অসহায়। তার শক্তি ও সার্বভৌম রাজত্ব সমুদয় বস্তুকে পরিবেষ্টন করে রয়েছে। তাঁর কথায়, তাঁর কর্মে, তাঁর আইনে, তাঁর নির্বাচনে, এক কথায় সর্বক্ষেত্রেই তিনি একচ্ছত্র অধিপতি। মুহাম্মাদ ইবনে মুনকাদির ( রঃ ) বলেছেন যে, ( আরবি ) দ্বারা উদ্দেশ্য হলো। ( আরবি ) অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই।

সূরা রূম আয়াত 27 সূরা

وهو الذي يبدأ الخلق ثم يعيده وهو أهون عليه وله المثل الأعلى في السموات والأرض وهو العزيز الحكيم

سورة: الروم - آية: ( 27 )  - جزء: ( 21 )  -  صفحة: ( 407 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. বললঃ আমি এমন নই যে, একজন মানবকে সেজদা করব, যাকে আপনি পচা কর্দম থেকে তৈরী
  2. হে মারইয়াম! তোমার পালনকর্তার উপাসনা কর এবং রুকুকারীদের সাথে সেজদা ও রুকু কর।
  3. অতএব, আল্লাহর কোন সদৃশ সাব্যস্ত করো না, নিশ্চয় আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না।
  4. এবং ধন-ভান্ডার ও মনোরম স্থানসমূহ থেকে।
  5. যেদিন কাফেরদেরকে জাহান্নামের কাছে উপস্থিত করা হবে সেদিন বলা হবে, তোমরা তোমাদের সুখ পার্থিব জীবনেই
  6. সেদিন জালেমদের ওযর-আপত্তি তাদের কোন উপকারে আসবে না এবং তওবা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সুযোগও
  7. আমি আপনাকে দৃঢ়পদ না রাখলে আপনি তাদের প্রতি কিছুটা ঝুঁকেই পড়তেন।
  8. অতঃপর আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁর দুঃখকষ্ট দূর করে দিলাম এবং তাঁর পরিবরাবর্গ
  9. আমি এক নারীকে সাবাবাসীদের উপর রাজত্ব করতে দেখেছি। তাকে সবকিছুই দেয়া হয়েছে এবং তার একটা
  10. আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি গুরুত্বপূর্ণ বাণী।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা রূম ডাউনলোড করুন:

সূরা Rum mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Rum শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত রূম  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত রূম  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত রূম  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত রূম  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত রূম  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত রূম  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত রূম  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত রূম  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত রূম  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত রূম  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত রূম  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত রূম  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত রূম  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত রূম  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত রূম  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত রূম  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত রূম  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত রূম  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত রূম  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত রূম  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত রূম  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত রূম  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত রূম  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত রূম  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত রূম  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, May 20, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب