কোরান সূরা হা-মীম আস-সাজদা আয়াত 32 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Fussilat ayat 32 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা হা-মীম আস-সাজদা আয়াত 32 আরবি পাঠে(Fussilat).
  
   

﴿نُزُلًا مِّنْ غَفُورٍ رَّحِيمٍ﴾
[ فصلت: 32]

এটা ক্ষমাশীল করুনাময়ের পক্ষ থেকে সাদর আপ্যায়ন। [সূরা হা-মীম আস-সাজদা: 32]

Surah Fussilat in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Fussilat ayat 32


''পরিত্রাণকারী অফুরন্ত ফলদাতার তরফ থেকে এক আপ্যায়ন।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩২. যা তোমাদের আপ্যায়নের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতকৃত জীবিকা হিসেবে ব্যবস্থা করা হয়েছে ওই রবের পক্ষ থেকে যিনি বান্দাদের মধ্য থেকে তাওবাকারীদের পাপ মার্জনাকারী ও তাদের প্রতি দয়াবান।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু আল্লার পক্ষ হতে এ হবে আপ্যায়ন।’

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


এটা ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু আল্লাহর পক্ষ হতে আপ্যায়ন হিসেবে।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৩০-৩২ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা বলেন যে, যারা মুখে আল্লাহ তাআলাকে প্রতিপালক বলে মেনে নিয়েছে অর্থাৎ তার একত্ববাদে বিশ্বাসী হয়েছে, অতঃপর এর উপর অটল থেকেছে, অর্থাৎ আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী নিজেদের জীবনকে পরিচালিত করেছে, তাদের কোন ভয় ও চিন্তা নেই। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) এই আয়াতটি তিলাওয়াত করে বলেনঃ “ বহু লোক আল্লাহ তাআলাকে প্রতিপালক মেনে নেয়ার পর আবার কুফরী করে থাকে ( তারা এদের অন্তর্ভুক্ত নয় ), যারা এটা বলে এবং মৃত্যু পর্যন্ত এর উপরই প্রতিষ্ঠিত থাকে ( তারাই এই সুসংবাদ প্রাপ্তির যোগ্য )( এ হাদীসটি হাফিয আবু ইয়ালা (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। সুনানে নাসাঈতেও এটা বর্ণিত হয়েছে)হযরত আবু বকর ( রাঃ )-এর সামনে এ আয়াতটি যখন তিলাওয়াত করা হতো তখন তিনি বলতেন যে, এর দ্বারা ঐ লোকদেরকে বুঝানো হয়েছে যারা কালেমা পড়ে আর কখনো শিরক করে না।আর একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, একদা হযরত আবু বকর ( রাঃ ) জনগণকে এই আয়াতের তাফসীর জিজ্ঞেস করলে তারা উত্তরে বলেনঃ “ এখানে ইসতিকামাত বা প্রতিষ্ঠিত থাকার অর্থ হচ্ছে আর গুনাহ না করা ।” তিনি তখন বলেনঃ “ তোমরা ভুল বুঝেছে । এর ভাবার্থ হলো- আল্লাহর একত্বকে স্বীকার করে নিয়ে আবার অন্যের দিকে কখনো ভ্রুক্ষেপ না করা।”হযরত ইকরামা ( রঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, একদা হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ )-কে জিজ্ঞেস করা হয়ঃ আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলার কিতাবে ( হুকুম ও প্রতিদানের দিক দিয়ে ) সবচেয়ে সহজ আয়াত কোনটি? তিনি উত্তরে ( আরবী )-এ আয়াতটি তিলাওয়াত করে বলেন যে, আল্লাহর তাওহীদ বা একত্ববাদের উপর আমরণ প্রতিষ্ঠিত থাকা । ( এটা ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত উমার ( রাঃ ) মিম্বরের উপর এ আয়াতটি তিলাওয়াত করে বলেনঃ আল্লাহর কসম! এর দ্বারা ঐ লোকদেরকে বুঝানো হয়েছে যারা আনুগত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে এবং খেক শিয়ালের চলন গতির মত এদিক ওদিক চলে না ।( এটা ইমাম যুহরী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে,। -এর অর্থ হচ্ছে যে, তারা আল্লাহ( আদিষ্ট ) ফরযগুলো আদায় করে থাকে। কাতাদাও ( রঃ ) এ কথা বলেন। হযরত হাসান ( রঃ ) দুআ করতেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! আপনি আমাদের প্রতিপালক । আপনি আমাদেরকে অটলতা ও পক্কতা দান করুন।" আবুল আলিয়া ( রঃ ) বলেন যে, ( আরবী )-এর অর্থ হলোঃ তাঁর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে আমল করা।সুফিয়ান সাকাফী ( রঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, একটি লোক বলেঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমাকে ইসলামের এমন একটি বিষয় বলে দিন যা অন্য কাউকে জিজ্ঞেস করার আমার প্রয়োজন না হয় । রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তখন তাকে বললেনঃ “ তুমি বলঃ আমি আল্লাহর উপর ঈমান আনলাম । অতঃপর ওর উপর অটল থাকো।" লোকটি বললোঃ “ এতো আমল হলো । আমি বেঁচে থাকবো কি হতে তা আমাকে বলে দিন।” তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) জিহ্বার দিকে ইশারা করলেন এবং বললেনঃ “ এটা হতে ।( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ), ইমাম মুসলিম ( রঃ ) এবং ইমাম নাসাঈ ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী ( রঃ ) এটাকে হাসান সহীহ বলেছেন)তাদের কাছে তাদের মৃত্যুর সময় ফেরেশতারা আগমন করেন এবং তাদেরকে সুসংবাদ শুনাতে গিয়ে বলেনঃ “ তোমরা এখন আখিরাতের মনযিলের দিকে যাচ্ছি । তোমরা নির্ভয়ে থাকো। সেখানে তোমাদের কোন ভয় নেই।তোমাদের পিছনে তোমরা যে দুনিয়া ছেড়ে এসেছে সে ব্যাপারেও তোমরা নিশ্চিন্ত থাকো। তোমার পরিবারবর্গের, সম্পদ ও আসবাবপত্রের এবং দ্বীন ও আমানতের হিফাযতের দায়িত্ব আমাদের যিম্মায় রয়েছে। আমরা তোমাদের প্রতিনিধি। আমরা তোমাদেরকে সুসংবাদ শুনাচ্ছি যে, তোমরা জান্নাতী। তোমাদেরকে সঠিক ও সত্য প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। তা পূর্ণ হবেই।”সুতরাং তারা তাদের মৃত্যুর সময় খুশী হয়ে যায় যে, তারা সমস্ত অকল্যাণ হতে বেঁচে গেছে এবং সর্বপ্রকারের কল্যাণ লাভ করেছে।হাদীসে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেন, মুমিনের রূহকে সম্বোধন করে ফেরেশতারা বলেনঃ “ হে পবিত্র রূহ, যে পবিত্র দেহে ছিলে, চলো, আল্লাহর ক্ষমা, ইনআম এবং নিয়ামতের দিকে । চলো, ঐ আল্লাহর দিকে যিনি তোমার প্রতি অসন্তুষ্ট নন।”এটাও বর্ণিত আছে যে, মুমিনরা যখন তাদের কবর হতে উঠবে তখনই ফেরেশতারা তাদের কাছে আসবেন এবং সুসংবাদ শুনাবেন। হযরত সাবিত ( রাঃ ) এই সূরাটি পড়তে পড়তে যখন ...
( আরবী )-এই আয়াত পর্যন্ত পৌঁছেন তখন থেমে যান, অতঃপর বলেন, আমাদের নিকট খবর পৌঁছেছে যে, মুমিন বান্দা যখন কবর হতে উঠবে তখন ঐ দু’জন ফেরেশতা তার কাছে আসবেন যারা দুনিয়ায় তার সাথে থাকতেন, এসে তাকে বলবেনঃ “ ভয় করো না, হতবুদ্ধি হয়ো না এবং চিন্তিত হয়ো না । তুমি জান্নাতী। তুমি খুশী হয়ে যাও। তোমার সাথে আল্লাহ তা'আলার যে প্রতিশ্রুতি ছিল তা পূর্ণ হবেই।" মোটকথা, ভয় নিরাপত্তায় পরিবর্তিত হবে, চক্ষু ঠাণ্ডা হবে এবং অন্তর প্রশান্ত থাকবে। কিয়ামতের সমস্ত ভয় ও সন্ত্রাস দূরীভূত হবে। ভাল কাজের বিনিময় স্বচক্ষে দেখবে এবং খুশী হয়ে যাবে। মোটকথা, মৃত্যুর সময়, কবরে এবং কবর হতে উঠবার সময়, সর্বাবস্থাতেই রহমতের ফেরেশতারা মুমিনের সাথে থাকবেন। সদা-সর্বদা তাকে সুসংবাদ শুনাতে থাকবেন। ফেরেশতাগণ মুমিনদেরকে একথাও বলবেনঃ “ পার্থিব জীবনেও আমরা তোমাদের সাথে তোমাদের বন্ধু হিসেবে ছিলাম, তোমাদেরকে পুণ্যের পথে পরিচালিত করতাম, কল্যাণের পথ দেখাতাম এবং তোমাদের রক্ষণাবেক্ষণ করতাম । অনুরূপভাবে আখিরাতেও তোমাদের সাথে থাকবো, তোমাদের ভয়-ভীতি দূর করে দিবো, কবরে, হাশরে, কিয়ামতের মাঠে, পুলসিরাতের উপর, মোটকথা, সব জায়গাতেই তোমাদের বন্ধু ও সঙ্গী হিসেবে থাকবো। সুখময় জান্নাতে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমরা তোমাদের থেকে পৃথক হবে না। জান্নাতে পৌঁছে তোমরা যা কিছু চাইবে তা পাবে। তোমাদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়ে যাবে। এটা হবে ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু আল্লাহর পক্ষ হতে আপ্যায়ন। তাঁর স্নেহ, মেহেরবানী, ক্ষমা, দান সীমাহীন ও খুবই প্রশস্ত। ( )হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়াব ( রঃ ) এবং হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ )-এর একবার পরস্পর সাক্ষাৎ ঘটলো। হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) তাঁকে বললেনঃ আল্লাহ তাআলা যেন আমাদের উভয়কে জান্নাতের বাজারে মিলিত করেন এই দুআ করি ।” তখন হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়াব ( রঃ ) তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ “ জান্নাতের মধ্যেও কি বাজার আছে?” হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) উত্তরে বললেনঃ “হ্যা! রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) আমাকে খবর দিয়েছেন যে, জান্নাতীরা যখন জান্নাতে যাবে এবং নিজ নিজ আমলের মর্যাদা অনুযায়ী ( জান্নাতের ) শ্ৰেণী লাভ করবে তখন দুনিয়ার অনুমানে জুমআর দিন তাদের সবাইকে এক জায়গায় জমা হবার অনুমতি দেয়া হবে । যখন তারা সবাই একত্রিত হয়ে যাবে তখন মহামহিমান্বিত আল্লাহ তাদের উপর স্বীয় ঔজ্জ্বল্য প্রকাশ করবেন। তাঁর আরশ প্রকাশিত হবে। তারা সবাই জান্নাতের বাগানে নূর, মণি-মাণিক্য, ইয়াকূত, যবরজদ এবং স্বর্ণ ও রৌপ্যের মিম্বরের উপর সমাসীন থাকবে। তাদের কেউ কেউ, যারা পুণ্যের দিক দিয়ে কম মর্যাদা বিশিষ্ট হবে, কিন্তু জান্নাতী হওয়ার দিক দিয়ে কারো অপেক্ষা কম মর্যাদা সম্পন্ন হবে না, তারা মিশক আম্বর এবং কপূরের টিলার উপর অবস্থান করবে। কিন্তু তারা নিজেদের এ জায়গাতেই এমন খুশী থাকবে যে, কুরসীর উপর উপবিষ্টদেরকে তাদের চেয়ে মর্যাদাবান মনে করবে না। হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে জিজ্ঞেস করলামঃ আমরা কি আমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাবো? উত্তরে তিনি বললেনঃ “ হঁ্যা, হঁ্যা, অবশ্যই দেখতে পাবে । অর্ধ দিনের সূর্য এবং চৌদ্দ তারিখের চন্দ্রকে যেভাবে দেখে থাকো তেমনি ভাবেই আল্লাহ তাআলাকে দেখতে পাবে।” ঐ মজলিসে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেকের সাথে কথা বলবেন। এমন কি কোন কোনজনকে তিনি জিজ্ঞেস করবেনঃ “ অমুক জায়গায় তুমি আমার অমুক বিরোধিতা করেছিলে তা তোমার স্মরণ আছে কি?” সে উত্তরে বলবেঃ “হে আল্লাহ্ ! আপনি ওটা সম্মন্ধে কেন প্রশ্ন করছেন? ওটা তো আপনি ক্ষমা করে দিয়েছেন!” আল্লাহ তাআলা তখন বলবেনঃ “হ্যা, তুমি ঠিকই বলেছো । আমার এই অসীম ক্ষমার কারণেই তো তুমি এত বড় মর্যাদার অধিকারী হয়েছে।” তারা ঐ অবস্থাতেই থাকবে। এমন সময় এক মেঘখণ্ড তাদেরকে ঢেকে ফেলবে এবং তা হতে এমন সুগন্ধি বর্ষিত হবে যার মত সুঘ্রাণ কেউ কখনো গ্রহণ করেনি। অতঃপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ তাদেরকে বলবেনঃ “ তোমরা উঠো এবং আমি তোমাদের জন্যে যে পুরস্কার ও পারিতোষিক প্রস্তুত রেখেছি তা গ্রহণ কর?” তারপর বাজারে পৌঁছবে যা ফেরেশতারা চতুর্দিক থেকে পরিবেষ্টন করে থাকবেন । সেখানে তারা এমন সব জিনিস দেখতে পাবে যা কখনো দেখেনি, শুনেনি এবং অন্তরেও খেয়াল জাগেনি। যে ব্যক্তি যে জিনিস চাইবে নিয়ে নিবে। সেখানে ক্রয়-বিক্রয় হবে না, বরং পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে। সেখানে সমস্ত জান্নাতবাসী একে অপরের সাথে সাক্ষাৎ করবে। একজন নিম্ন শ্রেণীর জান্নাতী উচ্চ শ্রেণীর জান্নাতীর সাথে মোলাকাত করবে। তখন দেখবে যে, তার দেহে সুন্দর সুন্দর পোশাক রয়েছে। তার মনে ওগুলোর খেয়াল জাগা মাত্রই সে তার নিজের দেহের দিকে চেয়ে দেখবে যে, সে ওগুলোর চেয়েও সুন্দর পোশাক পরিহিত রয়েছে। কেননা, সেখানে কারো মনে কোন দুঃখ-চিন্তা থাকবে না। অতঃপর তারা সবাই নিজ নিজ বাসভবনে ফিরে যাবে। সেখানে প্রত্যেককে তার স্ত্রী মারহাবা বলে সাদর সম্ভাষণ জানাবে। অতঃপর বলবেঃ “ এখান থেকে যাবার সময় তো আপনার মধ্যে এইরূপ সজীবতা ও ঔজ্বল্য ছিল না, কিন্তু এখন তো সৌন্দর্য, লাবণ্য এবং সুগন্ধ খুব বেশী হয়ে গেছে, এর কারণ কি?” সে উত্তরে বলবেঃ “হ্যা, ঠিকই বটে । আজ আমরা আল্লাহ্ তা'আলার মজলিসে ছিলাম। ফলে আমাদের এই অবস্থা হয়েছে।” ( এটা ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আনাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা'আলার সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করে, আল্লাহ তাআলাও তার সাথে সাক্ষাৎ করতে চান । পক্ষান্তরে, যে ব্যক্তি তার সাথে সাক্ষাৎকে মন্দ মনে করে, তিনিও তার সাথে সাক্ষাৎ করা অপছন্দ করেন।” সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমরা তো মৃত্যুকে অপছন্দ করি?” জবাবে রাসূলুল্লাহ( সঃ ) বললেনঃ “এর অর্থ মৃত্যুকে অপছন্দ করা নয় । বরং মৃত্যুর যন্ত্রণার সময় তার কাছে আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ হতে সুসংবাদ আসে, যা শুনে তার কাছে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ ছাড়া অধিক প্রিয় আর কিছুই থাকে না। সুতরাং আল্লাহ্ তাআলাও তার সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করেন। আর পাপী এবং কাফিরের মৃত্যু-যন্ত্রণার সময় যখন তাকে দুঃসংবাদ শুনানো হয় যা তার উপর পতিত হবে, তখন সে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎকে অপছন্দ করে এবং আল্লাহ তা'আলাও তার সাথে সাক্ষাৎ করাকে ঘৃণা করেন।” ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটি সম্পূর্ণরূপে বিশুদ্ধ। এর বহু সনদ রয়েছে)

সূরা হা-মীম আস-সাজদা আয়াত 32 সূরা

نـزلا من غفور رحيم

سورة: فصلت - آية: ( 32 )  - جزء: ( 24 )  -  صفحة: ( 480 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. যা কিছু আকাশসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু যমীনে আছে, সব আল্লাহরই। যদি তোমরা মনের কথা
  2. তখন তারা বলবে, আমরা কি অবকাশ পাব না?
  3. যারা কাফের হয়েছে এবং আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করেছে, আমি তাদেরকে আযাবের পর আযাব বাড়িয়ে
  4. আর যে কেউ সীমালঙ্ঘন কিংবা জুলুমের বশবর্তী হয়ে এরূপ করবে, তাকে খুব শীঘ্রই আগুনে নিক্ষেপ
  5. যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তারাই ফেরেশতাকে নারীবাচক নাম দিয়ে থাকে।
  6. অতঃপর আমি তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে রক্ষা করলাম।
  7. মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে,
  8. এটা এজন্যে যে, আল্লাহ মুমিনদের হিতৈষী বন্ধু এবং কাফেরদের কোন হিতৈষী বন্ধু নাই।
  9. সেই নবীগণ আল্লাহর পয়গাম প্রচার করতেন ও তাঁকে ভয় করতেন। তারা আল্লাহ ব্যতীত অন্যকাউকে ভয়
  10. বরং তাঁকে উঠিয়ে নিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা নিজের কাছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা হা-মীম আস-সাজদা ডাউনলোড করুন:

সূরা Fussilat mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Fussilat শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, November 3, 2024

Please remember us in your sincere prayers