سوره صافات به زبان بنگالی

  1. گوش دادن به سوره
  2. سورهای دیگر
  3. ترجمه سوره
قرآن کریم | ترجمه معانی قرآن | زبان بنگالی | سوره صافات | الصافات - تعداد آیات آن 182 - شماره سوره در مصحف: 37 - معنی سوره به انگلیسی: Those Who Set The Ranks.

وَالصَّافَّاتِ صَفًّا(1)

 শপথ তাদের যারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো,

فَالزَّاجِرَاتِ زَجْرًا(2)

 অতঃপর ধমকিয়ে ভীতি প্রদর্শনকারীদের,

فَالتَّالِيَاتِ ذِكْرًا(3)

 অতঃপর মুখস্থ আবৃত্তিকারীদের-

إِنَّ إِلَٰهَكُمْ لَوَاحِدٌ(4)

 নিশ্চয় তোমাদের মাবুদ এক।

رَّبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَرَبُّ الْمَشَارِقِ(5)

 তিনি আসমান সমূহ, যমীনও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা এবং পালনকর্তা উদয়াচলসমূহের।

إِنَّا زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِزِينَةٍ الْكَوَاكِبِ(6)

 নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি।

وَحِفْظًا مِّن كُلِّ شَيْطَانٍ مَّارِدٍ(7)

 এবং তাকে সংরক্ষিত করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে।

لَّا يَسَّمَّعُونَ إِلَى الْمَلَإِ الْأَعْلَىٰ وَيُقْذَفُونَ مِن كُلِّ جَانِبٍ(8)

 ওরা উর্ধ্ব জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চার দিক থেকে তাদের প্রতি উল্কা নিক্ষেপ করা হয়।

دُحُورًا ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ وَاصِبٌ(9)

 ওদেরকে বিতাড়নের উদ্দেশে। ওদের জন্যে রয়েছে বিরামহীন শাস্তি।

إِلَّا مَنْ خَطِفَ الْخَطْفَةَ فَأَتْبَعَهُ شِهَابٌ ثَاقِبٌ(10)

 তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে।

فَاسْتَفْتِهِمْ أَهُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَم مَّنْ خَلَقْنَا ۚ إِنَّا خَلَقْنَاهُم مِّن طِينٍ لَّازِبٍ(11)

 আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর, না আমি অন্য যা সৃষ্টি করেছি? আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এঁটেল মাটি থেকে।

بَلْ عَجِبْتَ وَيَسْخَرُونَ(12)

 বরং আপনি বিস্ময় বোধ করেন আর তারা বিদ্রুপ করে।

وَإِذَا ذُكِّرُوا لَا يَذْكُرُونَ(13)

 যখন তাদেরকে বোঝানো হয়, তখন তারা বোঝে না।

وَإِذَا رَأَوْا آيَةً يَسْتَسْخِرُونَ(14)

 তারা যখন কোন নিদর্শন দেখে তখন বিদ্রূপ করে।

وَقَالُوا إِنْ هَٰذَا إِلَّا سِحْرٌ مُّبِينٌ(15)

 এবং বলে, কিছুই নয়, এযে স্পষ্ট যাদু।

أَإِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَإِنَّا لَمَبْعُوثُونَ(16)

 আমরা যখন মরে যাব, এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব?

أَوَآبَاؤُنَا الْأَوَّلُونَ(17)

 আমাদের পিতৃপুরুষগণও কি?

قُلْ نَعَمْ وَأَنتُمْ دَاخِرُونَ(18)

 বলুন, হ্যাঁ এবং তোমরা হবে লাঞ্ছিত।

فَإِنَّمَا هِيَ زَجْرَةٌ وَاحِدَةٌ فَإِذَا هُمْ يَنظُرُونَ(19)

 বস্তুতঃ সে উত্থান হবে একটি বিকট শব্দ মাত্র-যখন তারা প্রত্যক্ষ করতে থাকবে।

وَقَالُوا يَا وَيْلَنَا هَٰذَا يَوْمُ الدِّينِ(20)

 এবং বলবে, দুর্ভাগ্য আমাদের! এটাই তো প্রতিফল দিবস।

هَٰذَا يَوْمُ الْفَصْلِ الَّذِي كُنتُم بِهِ تُكَذِّبُونَ(21)

 বলা হবে, এটাই ফয়সালার দিন, যাকে তোমরা মিথ্যা বলতে।

۞ احْشُرُوا الَّذِينَ ظَلَمُوا وَأَزْوَاجَهُمْ وَمَا كَانُوا يَعْبُدُونَ(22)

 একত্রিত কর গোনাহগারদেরকে, তাদের দোসরদেরকে এবং যাদের এবাদত তারা করত।

مِن دُونِ اللَّهِ فَاهْدُوهُمْ إِلَىٰ صِرَاطِ الْجَحِيمِ(23)

 আল্লাহ ব্যতীত। অতঃপর তাদেরকে পরিচালিত কর জাহান্নামের পথে,

وَقِفُوهُمْ ۖ إِنَّهُم مَّسْئُولُونَ(24)

 এবং তাদেরকে থামাও, তারা জিজ্ঞাসিত হবে;

مَا لَكُمْ لَا تَنَاصَرُونَ(25)

 তোমাদের কি হল যে, তোমরা একে অপরের সাহায্য করছ না?

بَلْ هُمُ الْيَوْمَ مُسْتَسْلِمُونَ(26)

 বরং তারা আজকের দিনে আত্নসমর্পণকারী।

وَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ يَتَسَاءَلُونَ(27)

 তারা একে অপরের দিকে মুখ করে পরস্পরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

قَالُوا إِنَّكُمْ كُنتُمْ تَأْتُونَنَا عَنِ الْيَمِينِ(28)

 বলবে, তোমরা তো আমাদের কাছে ডান দিক থেকে আসতে।

قَالُوا بَل لَّمْ تَكُونُوا مُؤْمِنِينَ(29)

 তারা বলবে, বরং তোমরা তো বিশ্বাসীই ছিলে না।

وَمَا كَانَ لَنَا عَلَيْكُم مِّن سُلْطَانٍ ۖ بَلْ كُنتُمْ قَوْمًا طَاغِينَ(30)

 এবং তোমাদের উপর আমাদের কোন কতৃত্ব ছিল না, বরং তোমরাই ছিলে সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।

فَحَقَّ عَلَيْنَا قَوْلُ رَبِّنَا ۖ إِنَّا لَذَائِقُونَ(31)

 আমাদের বিপক্ষে আমাদের পালনকর্তার উক্তিই সত্য হয়েছে। আমাদেরকে অবশই স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।

فَأَغْوَيْنَاكُمْ إِنَّا كُنَّا غَاوِينَ(32)

 আমরা তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিলাম। কারণ আমরা নিজেরাই পথভ্রষ্ট ছিলাম।

فَإِنَّهُمْ يَوْمَئِذٍ فِي الْعَذَابِ مُشْتَرِكُونَ(33)

 তারা সবাই সেদিন শান্তিতে শরীক হবে।

إِنَّا كَذَٰلِكَ نَفْعَلُ بِالْمُجْرِمِينَ(34)

 অপরাধীদের সাথে আমি এমনি ব্যবহার করে থাকি।

إِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا إِلَٰهَ إِلَّا اللَّهُ يَسْتَكْبِرُونَ(35)

 তাদের যখন বলা হত, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য েনই, তখন তারা ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করত।

وَيَقُولُونَ أَئِنَّا لَتَارِكُو آلِهَتِنَا لِشَاعِرٍ مَّجْنُونٍ(36)

 এবং বলত, আমরা কি এক উম্মাদ কবির কথায় আমাদের উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ করব।

بَلْ جَاءَ بِالْحَقِّ وَصَدَّقَ الْمُرْسَلِينَ(37)

 না, তিনি সত্যসহ আগমন করেছেন এবং রসূলগণের সত্যতা স্বীকার করেছেন।

إِنَّكُمْ لَذَائِقُو الْعَذَابِ الْأَلِيمِ(38)

 তোমরা অবশ্যই বেদনাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করবে।

وَمَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ(39)

 তোমরা যা করতে, তারই প্রতিফল পাবে।

إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ(40)

 তবে তারা নয়, যারা আল্লাহর বাছাই করা বান্দা।

أُولَٰئِكَ لَهُمْ رِزْقٌ مَّعْلُومٌ(41)

 তাদের জন্যে রয়েছে নির্ধারিত রুযি।

فَوَاكِهُ ۖ وَهُم مُّكْرَمُونَ(42)

 ফল-মূল এবং তারা সম্মানিত।

فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ(43)

 নেয়ামতের উদ্যানসমূহ।

عَلَىٰ سُرُرٍ مُّتَقَابِلِينَ(44)

 মুখোমুখি হয়ে আসনে আসীন।

يُطَافُ عَلَيْهِم بِكَأْسٍ مِّن مَّعِينٍ(45)

 তাদেরকে ঘুরে ফিরে পরিবেশন করা হবে স্বচ্ছ পানপাত্র।

بَيْضَاءَ لَذَّةٍ لِّلشَّارِبِينَ(46)

 সুশুভ্র, যা পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু।

لَا فِيهَا غَوْلٌ وَلَا هُمْ عَنْهَا يُنزَفُونَ(47)

 তাতে মাথা ব্যথার উপাদান নেই এবং তারা তা পান করে মাতালও হবে না।

وَعِندَهُمْ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ عِينٌ(48)

 তাদের কাছে থাকবে নত, আয়তলোচনা তরুণীগণ।

كَأَنَّهُنَّ بَيْضٌ مَّكْنُونٌ(49)

 যেন তারা সুরক্ষিত ডিম।

فَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ يَتَسَاءَلُونَ(50)

 অতঃপর তারা একে অপরের দিকে মুখ করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

قَالَ قَائِلٌ مِّنْهُمْ إِنِّي كَانَ لِي قَرِينٌ(51)

 তাদের একজন বলবে, আমার এক সঙ্গী ছিল।

يَقُولُ أَإِنَّكَ لَمِنَ الْمُصَدِّقِينَ(52)

 সে বলত, তুমি কি বিশ্বাস কর যে,

أَإِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَإِنَّا لَمَدِينُونَ(53)

 আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব, তখনও কি আমরা প্রতিফল প্রাপ্ত হব?

قَالَ هَلْ أَنتُم مُّطَّلِعُونَ(54)

 আল্লাহ বলবেন, তোমরা কি তাকে উকি দিয়ে দেখতে চাও?

فَاطَّلَعَ فَرَآهُ فِي سَوَاءِ الْجَحِيمِ(55)

 অপর সে উকি দিয়ে দেখবে এবং তাকে জাহান্নামের মাঝখানে দেখতে পাবে।

قَالَ تَاللَّهِ إِن كِدتَّ لَتُرْدِينِ(56)

 সে বলবে, আল্লাহর কসম, তুমি তো আমাকে প্রায় ধ্বংসই করে দিয়েছিলে।

وَلَوْلَا نِعْمَةُ رَبِّي لَكُنتُ مِنَ الْمُحْضَرِينَ(57)

 আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ না হলে আমিও যে গ্রেফতারকৃতদের সাথেই উপস্থিত হতাম।

أَفَمَا نَحْنُ بِمَيِّتِينَ(58)

 এখন আমাদের আর মৃত্যু হবে না।

إِلَّا مَوْتَتَنَا الْأُولَىٰ وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ(59)

 আমাদের প্রথম মৃত্যু ছাড়া এবং আমরা শাস্তি প্রাপ্তও হব না।

إِنَّ هَٰذَا لَهُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ(60)

 নিশ্চয় এই মহা সাফল্য।

لِمِثْلِ هَٰذَا فَلْيَعْمَلِ الْعَامِلُونَ(61)

 এমন সাফল্যের জন্যে পরিশ্রমীদের পরিশ্রম করা উচিত।

أَذَٰلِكَ خَيْرٌ نُّزُلًا أَمْ شَجَرَةُ الزَّقُّومِ(62)

 এই কি উত্তম আপ্যায়ন, না যাক্কুম বৃক্ষ?

إِنَّا جَعَلْنَاهَا فِتْنَةً لِّلظَّالِمِينَ(63)

 আমি যালেমদের জন্যে একে বিপদ করেছি।

إِنَّهَا شَجَرَةٌ تَخْرُجُ فِي أَصْلِ الْجَحِيمِ(64)

 এটি একটি বৃক্ষ, যা উদগত হয় জাহান্নামের মূলে।

طَلْعُهَا كَأَنَّهُ رُءُوسُ الشَّيَاطِينِ(65)

 এর গুচ্ছ শয়তানের মস্তকের মত।

فَإِنَّهُمْ لَآكِلُونَ مِنْهَا فَمَالِئُونَ مِنْهَا الْبُطُونَ(66)

 কাফেররা একে ভক্ষণ করবে এবং এর দ্বারা উদর পূর্ণ করবে।

ثُمَّ إِنَّ لَهُمْ عَلَيْهَا لَشَوْبًا مِّنْ حَمِيمٍ(67)

 তদুপরি তাদেরকে দেয়া হবে। ফুটন্ত পানির মিশ্রণ,

ثُمَّ إِنَّ مَرْجِعَهُمْ لَإِلَى الْجَحِيمِ(68)

 অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন হবে জাহান্নামের দিকে।

إِنَّهُمْ أَلْفَوْا آبَاءَهُمْ ضَالِّينَ(69)

 তারা তাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছিল বিপথগামী।

فَهُمْ عَلَىٰ آثَارِهِمْ يُهْرَعُونَ(70)

 অতঃপর তারা তদের পদাংক অনুসরণে তৎপর ছিল।

وَلَقَدْ ضَلَّ قَبْلَهُمْ أَكْثَرُ الْأَوَّلِينَ(71)

 তাদের পূর্বেও অগ্রবর্তীদের অধিকাংশ বিপথগামী হয়েছিল।

وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا فِيهِم مُّنذِرِينَ(72)

 আমি তাদের মধ্যে ভীতি প্রদর্শনকারী প্রেরণ করেছিলাম।

فَانظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُنذَرِينَ(73)

 অতএব লক্ষ্য করুন, যাদেরকে ভীতিপ্রদর্শণ করা হয়েছিল, তাদের পরিণতি কি হয়েছে।

إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ(74)

 তবে আল্লাহর বাছাই করা বান্দাদের কথা ভিন্ন।

وَلَقَدْ نَادَانَا نُوحٌ فَلَنِعْمَ الْمُجِيبُونَ(75)

 আর নূহ আমাকে ডেকেছিল। আর কি চমৎকারভাবে আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম।

وَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيمِ(76)

 আমি তাকে ও তার পরিবারবর্গকে এক মহাসংকট থেকে রক্ষা করেছিলাম।

وَجَعَلْنَا ذُرِّيَّتَهُ هُمُ الْبَاقِينَ(77)

 এবং তার বংশধরদেরকেই আমি অবশিষ্ট রেখেছিলাম।

وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ(78)

 আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে,

سَلَامٌ عَلَىٰ نُوحٍ فِي الْعَالَمِينَ(79)

 বিশ্ববাসীর মধ্যে নূহের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।

إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ(80)

 আমি এভাবেই সৎকর্ম পরায়নদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।

إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ(81)

 সে ছিল আমার ঈমানদার বান্দাদের অন্যতম।

ثُمَّ أَغْرَقْنَا الْآخَرِينَ(82)

 অতঃপর আমি অপরাপর সবাইকে নিমজ্জত করেছিলাম।

۞ وَإِنَّ مِن شِيعَتِهِ لَإِبْرَاهِيمَ(83)

 আর নূহ পন্থীদেরই একজন ছিল ইব্রাহীম।

إِذْ جَاءَ رَبَّهُ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ(84)

 যখন সে তার পালনকর্তার নিকট সুষ্ঠু চিত্তে উপস্থিত হয়েছিল,

إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَاذَا تَعْبُدُونَ(85)

 যখন সে তার পিতা ও সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ তোমরা কিসের উপাসনা করছ?

أَئِفْكًا آلِهَةً دُونَ اللَّهِ تُرِيدُونَ(86)

 তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত মিথ্যা উপাস্য কামনা করছ?

فَمَا ظَنُّكُم بِرَبِّ الْعَالَمِينَ(87)

 বিশ্বজগতের পালনকর্তা সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি?

فَنَظَرَ نَظْرَةً فِي النُّجُومِ(88)

 অতঃপর সে একবার তারকাদের প্রতি লক্ষ্য করল।

فَقَالَ إِنِّي سَقِيمٌ(89)

 এবং বললঃ আমি পীড়িত।

فَتَوَلَّوْا عَنْهُ مُدْبِرِينَ(90)

 অতঃপর তারা তার প্রতি পিঠ ফিরিয়ে চলে গেল।

فَرَاغَ إِلَىٰ آلِهَتِهِمْ فَقَالَ أَلَا تَأْكُلُونَ(91)

 অতঃপর সে তাদের দেবালয়ে, গিয়ে ঢুকল এবং বললঃ তোমরা খাচ্ছ না কেন?

مَا لَكُمْ لَا تَنطِقُونَ(92)

 তোমাদের কি হল যে, কথা বলছ না?

فَرَاغَ عَلَيْهِمْ ضَرْبًا بِالْيَمِينِ(93)

 অতঃপর সে প্রবল আঘাতে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল।

فَأَقْبَلُوا إِلَيْهِ يَزِفُّونَ(94)

 তখন লোকজন তার দিকে ছুটে এলো ভীত-সন্ত্রস্ত পদে।

قَالَ أَتَعْبُدُونَ مَا تَنْحِتُونَ(95)

 সে বললঃ তোমরা স্বহস্ত নির্মিত পাথরের পূজা কর কেন?

وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ وَمَا تَعْمَلُونَ(96)

 অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে এবং তোমরা যা নির্মাণ করছ সবাইকে সৃষ্টি করেছেন।

قَالُوا ابْنُوا لَهُ بُنْيَانًا فَأَلْقُوهُ فِي الْجَحِيمِ(97)

 তারা বললঃ এর জন্যে একটি ভিত নির্মাণ কর এবং অতঃপর তাকে আগুনের স্তুপে নিক্ষেপ কর।

فَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَسْفَلِينَ(98)

 তারপর তারা তার বিরুদ্ধে মহা ষড়যন্ত্র আঁটতে চাইল, কিন্তু আমি তাদেরকেই পরাভূত করে দিলাম।

وَقَالَ إِنِّي ذَاهِبٌ إِلَىٰ رَبِّي سَيَهْدِينِ(99)

 সে বললঃ আমি আমার পালনকর্তার দিকে চললাম, তিনি আমাকে পথপ্রদর্শন করবেন।

رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ(100)

 হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎপুত্র দান কর।

فَبَشَّرْنَاهُ بِغُلَامٍ حَلِيمٍ(101)

 সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম।

فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يَا بُنَيَّ إِنِّي أَرَىٰ فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانظُرْ مَاذَا تَرَىٰ ۚ قَالَ يَا أَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ ۖ سَتَجِدُنِي إِن شَاءَ اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ(102)

 অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন।

فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ(103)

 যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্যে শায়িত করল।

وَنَادَيْنَاهُ أَن يَا إِبْرَاهِيمُ(104)

 তখন আমি তাকে ডেকে বললামঃ হে ইব্রাহীম,

قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا ۚ إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ(105)

 তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।

إِنَّ هَٰذَا لَهُوَ الْبَلَاءُ الْمُبِينُ(106)

 নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।

وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ(107)

 আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু।

وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ(108)

 আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে,

سَلَامٌ عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ(109)

 ইব্রাহীমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।

كَذَٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ(110)

 এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।

إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ(111)

 সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের একজন।

وَبَشَّرْنَاهُ بِإِسْحَاقَ نَبِيًّا مِّنَ الصَّالِحِينَ(112)

 আমি তাকে সুসংবাদ দিয়েছি ইসহাকের, সে সৎকর্মীদের মধ্য থেকে একজন নবী।

وَبَارَكْنَا عَلَيْهِ وَعَلَىٰ إِسْحَاقَ ۚ وَمِن ذُرِّيَّتِهِمَا مُحْسِنٌ وَظَالِمٌ لِّنَفْسِهِ مُبِينٌ(113)

 তাকে এবং ইসহাককে আমি বরকত দান করেছি। তাদের বংশধরদের মধ্যে কতক সৎকর্মী এবং কতক নিজেদের উপর স্পষ্ট জুলুমকারী।

وَلَقَدْ مَنَنَّا عَلَىٰ مُوسَىٰ وَهَارُونَ(114)

 আমি অনুগ্রহ করেছিলাম মূসা ও হারুনের প্রতি।

وَنَجَّيْنَاهُمَا وَقَوْمَهُمَا مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيمِ(115)

 তাদেরকে ও তাদের সম্প্রদায়কে উদ্ধার করেছি মহা সংকট থেকে।

وَنَصَرْنَاهُمْ فَكَانُوا هُمُ الْغَالِبِينَ(116)

 আমি তাদেরকে সাহায্য করেছিলাম, ফলে তারাই ছিল বিজয়ী।

وَآتَيْنَاهُمَا الْكِتَابَ الْمُسْتَبِينَ(117)

 আমি উভয়কে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট কিতাব।

وَهَدَيْنَاهُمَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ(118)

 এবং তাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করেছিলাম।

وَتَرَكْنَا عَلَيْهِمَا فِي الْآخِرِينَ(119)

 আমি তাদের জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে,

سَلَامٌ عَلَىٰ مُوسَىٰ وَهَارُونَ(120)

 মূসা ও হারুনের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।

إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ(121)

 এভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।

إِنَّهُمَا مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ(122)

 তারা উভয়েই ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্যতম।

وَإِنَّ إِلْيَاسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ(123)

 নিশ্চয়ই ইলিয়াস ছিল রসূল।

إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَلَا تَتَّقُونَ(124)

 যখন সে তার সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি ভয় কর না ?

أَتَدْعُونَ بَعْلًا وَتَذَرُونَ أَحْسَنَ الْخَالِقِينَ(125)

 তোমরা কি বা’আল দেবতার এবাদত করবে এবং সর্বোত্তম স্রষ্টাকে পরিত্যাগ করবে।

اللَّهَ رَبَّكُمْ وَرَبَّ آبَائِكُمُ الْأَوَّلِينَ(126)

 যিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের পালনকর্তা?

فَكَذَّبُوهُ فَإِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ(127)

 অতঃপর তারা তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। অতএব তারা অবশ্যই গ্রেফতার হয়ে আসবে।

إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ(128)

 কিন্তু আল্লাহ তা’আলার খাঁটি বান্দাগণ নয়।

وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ(129)

 আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয়ে রেখে দিয়েছি যে,

سَلَامٌ عَلَىٰ إِلْ يَاسِينَ(130)

 ইলিয়াসের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক!

إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ(131)

 এভাবেই আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।

إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ(132)

 সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত।

وَإِنَّ لُوطًا لَّمِنَ الْمُرْسَلِينَ(133)

 নিশ্চয় লূত ছিলেন রসূলগণের একজন।

إِذْ نَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ أَجْمَعِينَ(134)

 যখন আমি তাকেও তার পরিবারের সবাইকে উদ্ধার করেছিলাম;

إِلَّا عَجُوزًا فِي الْغَابِرِينَ(135)

 কিন্তু এক বৃদ্ধাকে ছাড়া; সে অন্যান্যদের সঙ্গে থেকে গিয়েছিল।

ثُمَّ دَمَّرْنَا الْآخَرِينَ(136)

 অতঃপর অবশিষ্টদেরকে আমি সমূলে উৎপাটিত করেছিলাম।

وَإِنَّكُمْ لَتَمُرُّونَ عَلَيْهِم مُّصْبِحِينَ(137)

 তোমরা তোমাদের ধ্বংস স্তুপের উপর দিয়ে গমন কর ভোর বেলায়

وَبِاللَّيْلِ ۗ أَفَلَا تَعْقِلُونَ(138)

 এবং সন্ধ্যায়, তার পরেও কি তোমরা বোঝ না?

وَإِنَّ يُونُسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ(139)

 আর ইউনুসও ছিলেন পয়গম্বরগণের একজন।

إِذْ أَبَقَ إِلَى الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ(140)

 যখন পালিয়ে তিনি বোঝাই নৌকায় গিয়ে পৌঁছেছিলেন।

فَسَاهَمَ فَكَانَ مِنَ الْمُدْحَضِينَ(141)

 অতঃপর লটারী (সুরতি) করালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলেন।

فَالْتَقَمَهُ الْحُوتُ وَهُوَ مُلِيمٌ(142)

 অতঃপর একটি মাছ তাঁকে গিলে ফেলল, তখন তিনি অপরাধী গণ্য হয়েছিলেন।

فَلَوْلَا أَنَّهُ كَانَ مِنَ الْمُسَبِّحِينَ(143)

 যদি তিনি আল্লাহর তসবীহ পাঠ না করতেন,

لَلَبِثَ فِي بَطْنِهِ إِلَىٰ يَوْمِ يُبْعَثُونَ(144)

 তবে তাঁকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত মাছের পেটেই থাকতে হত।

۞ فَنَبَذْنَاهُ بِالْعَرَاءِ وَهُوَ سَقِيمٌ(145)

 অতঃপর আমি তাঁকে এক বিস্তীর্ণ-বিজন প্রান্তরে নিক্ষেপ করলাম, তখন তিনি ছিলেন রুগ্ন।

وَأَنبَتْنَا عَلَيْهِ شَجَرَةً مِّن يَقْطِينٍ(146)

 আমি তাঁর উপর এক লতাবিশিষ্ট বৃক্ষ উদগত করলাম।

وَأَرْسَلْنَاهُ إِلَىٰ مِائَةِ أَلْفٍ أَوْ يَزِيدُونَ(147)

 এবং তাঁকে, লক্ষ বা ততোধিক লোকের প্রতি প্রেরণ করলাম।

فَآمَنُوا فَمَتَّعْنَاهُمْ إِلَىٰ حِينٍ(148)

 তারা বিশ্বাস স্থাপন করল অতঃপর আমি তাদেরকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত জীবনোপভোগ করতে দিলাম।

فَاسْتَفْتِهِمْ أَلِرَبِّكَ الْبَنَاتُ وَلَهُمُ الْبَنُونَ(149)

 এবার তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তোমার পালনকর্তার জন্যে কি কন্যা সন্তান রয়েছে এবং তাদের জন্যে কি পুত্র-সন্তান।

أَمْ خَلَقْنَا الْمَلَائِكَةَ إِنَاثًا وَهُمْ شَاهِدُونَ(150)

 না কি আমি তাদের উপস্থিতিতে ফেরেশতাগণকে নারীরূপে সৃষ্টি করেছি?

أَلَا إِنَّهُم مِّنْ إِفْكِهِمْ لَيَقُولُونَ(151)

 জেনো, তারা মনগড়া উক্তি করে যে,

وَلَدَ اللَّهُ وَإِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ(152)

 আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।

أَصْطَفَى الْبَنَاتِ عَلَى الْبَنِينَ(153)

 তিনি কি পুত্র-সন্তানের স্থলে কন্যা-সন্তান পছন্দ করেছেন?

مَا لَكُمْ كَيْفَ تَحْكُمُونَ(154)

 তোমাদের কি হল? তোমাদের এ কেমন সিন্ধান্ত?

أَفَلَا تَذَكَّرُونَ(155)

 তোমরা কি অনুধাবন কর না?

أَمْ لَكُمْ سُلْطَانٌ مُّبِينٌ(156)

 না কি তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট কোন দলীল রয়েছে?

فَأْتُوا بِكِتَابِكُمْ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ(157)

 তোমরা সত্যবাদী হলে তোমাদের কিতাব আন।

وَجَعَلُوا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجِنَّةِ نَسَبًا ۚ وَلَقَدْ عَلِمَتِ الْجِنَّةُ إِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ(158)

 তারা আল্লাহ ও জ্বিনদের মধ্যে সম্পর্ক সাব্যস্ত করেছে, অথচ জ্বিনেরা জানে যে, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে।

سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يَصِفُونَ(159)

 তারা যা বলে তা থেকে আল্লাহ পবিত্র।

إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ(160)

 তবে যারা আল্লাহর নিষ্ঠাবান বান্দা, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে না।

فَإِنَّكُمْ وَمَا تَعْبُدُونَ(161)

 অতএব তোমরা এবং তোমরা যাদের উপাসনা কর,

مَا أَنتُمْ عَلَيْهِ بِفَاتِنِينَ(162)

 তাদের কাউকেই তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে বিভ্রান্ত করতে পারবে না।

إِلَّا مَنْ هُوَ صَالِ الْجَحِيمِ(163)

 শুধুমাত্র তাদের ছাড়া যারা জাহান্নামে পৌছাবে।

وَمَا مِنَّا إِلَّا لَهُ مَقَامٌ مَّعْلُومٌ(164)

 আমাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট স্থান।

وَإِنَّا لَنَحْنُ الصَّافُّونَ(165)

 এবং আমরাই সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান থাকি।

وَإِنَّا لَنَحْنُ الْمُسَبِّحُونَ(166)

 এবং আমরাই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করি।

وَإِن كَانُوا لَيَقُولُونَ(167)

 তারা তো বলতঃ

لَوْ أَنَّ عِندَنَا ذِكْرًا مِّنَ الْأَوَّلِينَ(168)

 যদি আমাদের কাছে পূর্ববর্তীদের কোন উপদেশ থাকত,

لَكُنَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ(169)

 তবে আমরা অবশ্যই আল্লাহর মনোনীত বান্দা হতাম।

فَكَفَرُوا بِهِ ۖ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ(170)

 বস্তুতঃ তারা এই কোরআনকে অস্বীকার করেছে। এখন শীঘ্রই তারা জেনে নিতে পারবে,

وَلَقَدْ سَبَقَتْ كَلِمَتُنَا لِعِبَادِنَا الْمُرْسَلِينَ(171)

 আমার রাসূল ও বান্দাগণের ব্যাপারে আমার এই বাক্য সত্য হয়েছে যে,

إِنَّهُمْ لَهُمُ الْمَنصُورُونَ(172)

 অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হয়।

وَإِنَّ جُندَنَا لَهُمُ الْغَالِبُونَ(173)

 আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী।

فَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتَّىٰ حِينٍ(174)

 অতএব আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন।

وَأَبْصِرْهُمْ فَسَوْفَ يُبْصِرُونَ(175)

 এবং তাদেরকে দেখতে থাকুন। শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে।

أَفَبِعَذَابِنَا يَسْتَعْجِلُونَ(176)

 আমার আযাব কি তারা দ্রুত কামনা করে?

فَإِذَا نَزَلَ بِسَاحَتِهِمْ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنذَرِينَ(177)

 অতঃপর যখন তাদের আঙ্গিনায় আযাব নাযিল হবে, তখন যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল, তাদের সকাল বেলাটি হবে খুবই মন্দ।

وَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتَّىٰ حِينٍ(178)

 আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন।

وَأَبْصِرْ فَسَوْفَ يُبْصِرُونَ(179)

 এবং দেখতে থাকুন, শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে।

سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ(180)

 পবিত্র আপনার পরওয়ারদেগারের সত্তা, তিনি সম্মানিত ও পবিত্র যা তারা বর্ণনা করে তা থেকে।

وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ(181)

 পয়গম্বরগণের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।

وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ(182)

 সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর নিমিত্ত।


سورهای بیشتر به زبان بنگالی:

سوره البقره آل عمران سوره نساء
سوره مائده سوره يوسف سوره ابراهيم
سوره حجر سوره کهف سوره مریم
سوره حج سوره قصص سوره عنکبوت
سوره سجده سوره یس سوره دخان
سوره فتح سوره حجرات سوره ق
سوره نجم سوره رحمن سوره واقعه
سوره حشر سوره ملک سوره حاقه
سوره انشقاق سوره أعلى سوره غاشية

دانلود سوره صافات با صدای معروف‌ترین قراء:

انتخاب خواننده برای گوش دادن و دانلود کامل سوره صافات با کیفیت بالا.
سوره صافات را با صدای احمد العجمی
أحمد العجمي
سوره صافات را با صدای ابراهيم الاخضر
ابراهيم الاخضر
سوره صافات را با صدای بندر بليلة
بندر بليلة
سوره صافات را با صدای خالد الجليل
خالد الجليل
سوره صافات را با صدای حاتم فريد الواعر
حاتم فريد الواعر
سوره صافات را با صدای خليفة الطنيجي
خليفة الطنيجي
سوره صافات را با صدای سعد الغامدي
سعد الغامدي
سوره صافات را با صدای سعود الشريم
سعود الشريم
سوره صافات را با صدای الشاطري
الشاطري
سوره صافات را با صدای صلاح ابوخاطر
صلاح بوخاطر
سوره صافات را با صدای عبد الباسط عبد الصمد
عبد الباسط
سوره صافات را با صدای عبد الرحمن العوسي
عبدالرحمن العوسي
سوره صافات را با صدای عبد الرشيد صوفي
عبد الرشيد صوفي
سوره صافات را با صدای عبد العزيز الزهراني
عبدالعزيز الزهراني
سوره صافات را با صدای عبد الله بصفر
عبد الله بصفر
سوره صافات را با صدای عبد الله عواد الجهني
عبد الله الجهني
سوره صافات را با صدای علي الحذيفي
علي الحذيفي
سوره صافات را با صدای علي جابر
علي جابر
سوره صافات را با صدای غسان الشوربجي
غسان الشوربجي
سوره صافات را با صدای فارس عباد
فارس عباد
سوره صافات را با صدای ماهر المعيقلي
ماهر المعيقلي
سوره صافات را با صدای محمد أيوب
محمد أيوب
سوره صافات را با صدای محمد المحيسني
محمد المحيسني
سوره صافات را با صدای محمد جبريل
محمد جبريل
سوره صافات را با صدای محمد صديق المنشاوي
المنشاوي
سوره صافات را با صدای الحصري
الحصري
سوره صافات را با صدای العفاسي
مشاري العفاسي
سوره صافات را با صدای ناصر القطامي
ناصر القطامي
سوره صافات را با صدای وديع اليمني
وديع اليمني
سوره صافات را با صدای ياسر الدوسري
ياسر الدوسري


Sunday, May 12, 2024

به قرآن کریم چنگ بزنید