কোরান সূরা সাদ আয়াত 25 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Sad ayat 25 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা সাদ আয়াত 25 আরবি পাঠে(Sad).
  
   

﴿فَغَفَرْنَا لَهُ ذَٰلِكَ ۖ وَإِنَّ لَهُ عِندَنَا لَزُلْفَىٰ وَحُسْنَ مَآبٍ﴾
[ ص: 25]

আমি তার সে অপরাধ ক্ষমা করলাম। নিশ্চয় আমার কাছে তার জন্যে রয়েছে উচ্চ মর্তবা ও সুন্দর আবাসস্থল। [সূরা সাদ: 25]

Surah Saad in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Sad ayat 25


কাজেই এই ব্যাপারে আমরা তাঁকে পরিত্রাণ করেছিলাম। আর নিশ্চয়ই তাঁর জন্য আমাদের কাছে তো নৈকট্য রয়েছে, আর রয়েছে এক সুন্দর গন্তব্যস্থল।


Tafsir Mokhtasar Bangla


২৫. আমি তাঁর তাওবা কবুল করলাম। বস্তুতঃ তিনি আমার নৈকট্য অর্জনকারীদের একজন। তাঁর জন্য পরকালে আছে উত্তম প্রতিদান।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


অতঃপর আমি তার অপরাধ ক্ষমা করলাম।[১] নিশ্চয় আমার নিকট তার জন্য রয়েছে উচ্চ মর্যাদা ও শুভ পরিণাম । [১] দাঊদ ( আ )-এর এই কাজ কি ছিল, যার জন্য তাঁকে ত্রুটি স্বীকার এবং তওবা, ক্ষমাপ্রার্থনা ও অনুতাপ প্রকাশ করার অনুভূতি হল এবং আল্লাহ তাআলা তাঁকে ক্ষমা করে দিলেন। কুরআন কারীমে এর বিস্তারিত আলোচনা পাওয়া যায় না এবং কোন সহীহ হাদীসেও এ বিষয়ে কোন স্পষ্ট বর্ণনা নেই। ফলে কোন কোন তফসীরবিদ ইস্রাঈলী বর্ণনার উপর ভিত্তি করে এমনও কথা লিখেছেন, যাতে একজন নবীর মর্যাদাহানি হয়। কোন কোন তফসীরবিদ; যেমন ইবনে কাসীর ( রঃ ) এ বিষয়ে এই নীতি অবলম্বন করেছেন যে, যখন কুরআন ও হাদীস এ বিষয়ে চুপ আছে, তখন আমাদেরও এর পিছনে পড়া উচিত নয়। তফসীরবিদদের এক তৃতীয় দল, যারা উক্ত ঘটনার কিছু বর্ণনা দিয়েছেন, যাতে কুরআনের অস্পষ্ট বিষয়ের কিছু ব্যাখ্যা হয়ে যায়। এর পরেও তাঁরা কোন এক রকম ব্যাখ্যায় সর্বসম্মত নন। সুতরাং কেউ কেউ বলেন যে, দাউদ ( আঃ ) কোন এক সৈনিককে তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার আদেশ করেছিলেন। এটা ঐ সময়ে কোন দোষের বিষয় ছিল না। দাঊদ ( আঃ ) সেই মহিলার গুণাবলী ও চারিত্রিক পরিপূর্ণতার কথা জানতেন। যার ফলে তাঁর মনে এই ইচ্ছার সঞ্চার হয়েছিল যে, সাধারণ নারী না থেকে তাকে একজন রাণী হওয়া দরকার। যাতে তার গুণাবলী ও চারিত্রিক পূর্ণতা দ্বারা পুরো দেশ উপকৃত হতে পারে। এ রকম ইচ্ছা যতই ভাল চিন্তা-ভাবনা নিয়ে করা হোক, কিন্তু প্রথমতঃ একাধিক স্ত্রী বর্তমান থাকা অবস্থায় এ কাজ এক প্রকার অশোভনীয়। দ্বিতীয়তঃ এই কথা বাদশার পক্ষ থেকে প্রকাশ করাতে এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করার শামিল হচ্ছে। ফলে দাউদ ( আঃ )-কে অভিনীত ঘটনা দ্বারা তা অশোভনীয় হওয়ার উপলব্ধি প্রদান করা হল এবং সত্য-সত্যই তিনি সতর্ক হয়ে গেলেন। অনেকে বলেন, মুকাদ্দামা নিয়ে আগত ব্যক্তিদ্বয় ফিরিশতা ছিলেন, যাঁরা একটি কাল্পনিক মুকাদ্দামা নিয়ে এসেছিলেন। এখানে দাউদ ( আঃ )-এর ভুল এই ছিল যে, তিনি বাদীর কথা শুনেই ফায়সালা করে দিলেন এবং বিবাদীর কথা শোনার প্রয়োজন মনে করলেন না। আল্লাহ তাআলা তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধি করার জন্য এই রকম পরীক্ষা করলেন। এই ভুল উপলব্ধি করতে পেরেই তিনি বুঝতে পারলেন যে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর পরীক্ষা ছিল। অতএব তিনি আল্লাহর দরবারে মাথা নত করলেন। অনেকে বলেন যে, আগত ব্যক্তিদ্বয় ফিরিশতা নয়, মানুষ ছিল এবং এটা কাল্পনিক ঘটনা নয়, বরং সত্য ঝগড়াই ছিল; যার ফায়সালা নেওয়ার জন্য তারা এসেছিল। এইভাবে তাঁর ধৈর্য ও সহনশীলতার পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। কারণ উক্ত ঘটনাতে অসহনীয় ও ক্রোধ-উদ্রেককর বেশ কিছু আচরণ ছিল। প্রথমঃ অনুমতি ছাড়াই প্রাচীর ডিঙিয়ে প্রবেশ করা। দ্বিতীয়ঃ ইবাদতের বিশেষ সময়ে এসে বাধা সৃষ্টি করা। তৃতীয়ঃ তাদের ধৃষ্টতাপূর্ণ ভঙ্গিতে কথাবার্তা ( অবিচার করবেন না ইত্যাদি ) যা তাঁর বিচারীয় মর্যাদার জন্য হানিকর ছিল। কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি অনুগ্রহ করেন, ফলে তিনি ক্রোধান্বিত না হয়ে পরিপূর্ণ ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দেন। কিন্তু তার অন্তরে যে প্রকৃতিগত সামান্য বিরাগ সঞ্চার হয়েছিল, তাকেই তিনি আপন ভুল ভেবেছিলেন। যেহেতু এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা ছিল, সেহেতু এরূপ প্রকৃতিগত বিরাগ সঞ্চার না হওয়াই উচিত ছিল। যার জন্য তিনি আল্লাহর দিকে রুজু করেছিলেন এবং ক্ষমা প্রার্থনায় রত হয়েছিলেন। আর আল্লাহই ভালো জানেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


অতঃপর আমরা তার ক্ৰটি ক্ষমা করলাম। আর নিশ্চয় আমাদের কাছে তার জন্য রয়েছে নৈকট্যের মর্যাদা ও উত্তম প্রত্যাবর্তনস্থল।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


২১-২৫ নং আয়াতের তাফসীর: তাফসীরকারগণ এখানে একটি গল্প বর্ণনা করেছেন যার অধিকাংশই বানী ইসরাঈলের রিওয়াইয়াত হতে নেয়া হয়েছে। এটা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। মুসনাদে ইবনে আবি হাতিমে একটি হাদীস রয়েছে বটে, কিন্তু ওটাও সঠিক নয়। কেননা, ইয়াযীদ রাকাশী নামক এর একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন, যিনি খুব সৎ লোক হলেও নিঃসন্দেহে দুর্বল। সুতরাং উত্তম কথা এই যে, কুরআন কারীমে যা আছে তা-ই সত্য এবং যা কিছু অন্তর্ভুক্ত করেছে তা-ই সঠিক। দু’জন লোককে ঘরের মধ্যে দেখে হযরত দাউদ ( আঃ )-এর ভীত হওয়ার কারণ এই যে, তিনি নির্জন কক্ষে একাকী অবস্থান করছিলেন এবং প্রহরীদেরকে ঘরের মধ্যে সেই দিন কাউকেও প্রবেশ করতে দিতে কঠোরভাবে নিষেধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এতদসত্ত্বেও এই দু’জনকে ঘরে আকস্মিকভাবে প্রবেশ করতে দেখে তিনি ভীত হয়ে পড়েছিলেন।( আরবী )-এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ কথা-বার্তায় সে আমার উপর জয়লাভ করেছে এবং আমার উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। অর্থাৎ কথায় সে আমার প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করেছে। হযরত দাউদ ( আঃ ) বুঝে ফেলেন যে, এটা তাঁর উপর মহান আল্লাহর পরীক্ষা। সুতরাং তিনি রুকু ও সিজদা করতঃ আল্লাহ তাআলার দিকে ঝুঁকে পড়েন। বর্ণিত আছে যে, চল্লিশ দিন পর্যন্ত তিনি সিজদা হতে মাথা উঠাননি।মহান আল্লাহ বলেনঃ অতঃপর আমি তার ত্রুটি ক্ষমা করলাম। এটা স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, যে কাজ সাধারণের জন্যে পুণ্যের হয় সেই কাজটিই বিশিষ্ট লোকদের জন্যে পাপের হয়ে থাকে।এটা সিজদার আয়াত কি-না এ বিষয়ে ইমাম শাফেয়ী ( রঃ )-এর নতুন মাযহাব এই যে, এখানে সিজদা জরুরী নয়। এটা তো সিজদায়ে শুক্র। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ )-এর উক্তি এই যে, ( আরবী )-এর মধ্যে সিজদা বাধ্যতামূলক নয়। তিনি বলেনঃ “ তবে আমি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে এতে সিজদা করতে দেখেছি ।" ( এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ ), ইমাম আবু দাউদ ( রঃ ), ইমাম তিরমিযী ( রঃ ) এবং ইমাম নাসাঈ ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন)সুনানে নাসাঈতে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) এখানে সিজদা করার পর বলেনঃ হযরত দাউদ ( আঃ )-এর জন্যে এই সিজদা ছিল তাওবার এবং আমাদের জন্যে এ সিজদা হলো শোকরের ।”হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ( সঃ )-এর কাছে একটি লোক এসে বললোঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমি স্বপ্নে দেখি যে, আমি যেন একটি গাছের পিছনে নামায পড়ছি এবং নামাযে সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করছি ও সিজদা করছি । তখন আমার সাথে গাছটিও সিজদা করলো এবং আমি গাছটিকে নিম্নলিখিত দুআ পড়তে শুনলামঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! আপনি আমার এই সিজদাকে আমার জন্যে আপনার নিকট পুণ্য ও যখীরার কারণ বানিয়ে দিন, আর এর মাধ্যমে আমার পাপের বোঝা হালকা করে দিন এবং এটা কবুল করে নিন, যেমন কবুল করেছিলেন আপনার বান্দা হযরত দাউদ ( আঃ )-এর সিজদাকে । তখন আমি দেখলাম যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) দাঁড়িয়ে গিয়ে নামায আদায় করলেন এবং সিজদার আয়াত পাঠ করে সিজদা করলেন। ঐ সিজদায় তিনি ঐ দুআই পড়লেন যে দুআটির কথা লোকটি গাছটির দু'আ বলে বর্ণনা করেছিল।” ( এ হাদীসটি জামেউত তিরমিযী ও সুনানে ইবনে মাজায় বর্ণিত হয়েছে )হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) এই আয়াতের সিজদার উপর দলীল পেশ করেছেন যে, মহান আল্লাহ বলেছেনঃ “ তার সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত ছিল দাউদ ( আঃ ) ও সুলাইমান ( আঃ ), যাদেরকে আমি হিদায়াত দান করেছিলাম । সুতরাং হে নবী ( সঃ )! তুমি তাদের হিদায়াতের অনুসরণ কর। তাহলে বুঝা গেল যে, তাঁদের অনুসরণ করতে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) আদিষ্ট ছিলেন। আর এটা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, হযরত দাউদ ( আঃ ) সিজদা করেছিলেন এবং রাসূলুল্লাহ( সঃ ) এই সিজদা করেন। হযরত আবু সাঈদ খুদরী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি যেন সূরায়ে সোয়দি লিখছেন এটা তিনি স্বপ্নে দেখতে পান। যখন তিনি সিজদার আয়াতে পৌঁছেন তখন দেখেন যে, কলম, দোয়াত ও আশে পাশের সবকিছুই সিজদা করলো। তিনি তাঁর স্বপ্নের কথা রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর নিকট বর্ণনা করেন। এরপর থেকে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) এই আয়াত পাঠ করে বরাবরই সিজদা করতেন। ( এ হদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আবু সাঈদ খুদরী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) একদা মিম্বরের উপর সূরায়ে সোয়াদ পাঠ করেন। সিজদার আয়াত পর্যন্ত পৌঁছে তিনি মিম্বর হতে অবতরণ করেন ও সিজদা করেন। তার সাথে অন্যান্য সবাই সিজদা করেন। অন্য একদিন মিম্বরের উপর তিনি এই সূরাটি পাঠ করেন। যখন তিনি সিজদার আয়াতে পৌঁছেন তখন জনগণ সিজদার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। এ দেখে তিনি বলেনঃ “ এটা তো ছিল হযরত দাউদ ( আঃ )-এর তাওবার সিজদা । আর আমি দেখি যে, তোমরাও সিজদার জন্যে প্রস্তুত হয়ে গেছো?” অতঃপর তিনি মিম্বর হতে নেমে সিজদা করেন। ( এ হদীসটি ইমাম আবু দাউদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ “ আমার নিকট দাউদ ( আঃ )-এর জন্যে রয়েছে উচ্চ মর্যাদা ও শুভ পরিণাম । কিয়ামতের দিন তিনি জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা লাভ করবেন। কেননা, তিনি স্বীয় রাজ্যে ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যেমন সহীহ হাদীসে এসেছেঃ “ সুবিচারক ও ন্যায়পরায়ণ লোকেরা নূরের মিম্বরের উপর রহমানের ( আল্লাহর ) ডানদিকে অবস্থান করবে, আল্লাহর উভয় হস্তই ডান, তারা ঐ সব সুবিচারক যারা তাদের পরিবার পরিজন ও যাদের তারা মালিক তাদের মধ্যে সুবিচার করে থাকে । হযরত আবু সাঈদ খুদরী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার নিকট সবচেয়ে প্রিয় এবং সবচেয়ে বেশী তাঁর নৈকট্যলাভকারী বান্দা হবে ন্যায়-বিচারক বাদশাহ । আর কিয়ামতের দিন আল্লাহর সবচেয়ে বড় শত্রু ও কঠিন আযাব প্রাপ্ত ব্যক্তি হবে অত্যাচারী বাদশাহ।” ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত মালিক ইবনে দীনার ( রাঃ ) বলেন যে, কিয়ামতের দিন হযরত দাউদ ( আঃ )-কে আরশের পায়ার নিকট দাঁড় করানো হবে। আল্লাহ তা'আলা তাঁকে বলবেনঃ “ হে দাউদ ( আঃ )! তুমি দুনিয়ায় যে মিষ্টি ও করুণ সুরে আমার প্রশংসা ও গুণকীর্তন করতে সেভাবে এখনো কর ।” তিনি উত্তরে বলবেনঃ “ হে আল্লাহ! এখন ঐ সুর ও আওয়াজ কোথায়?” জবাবে আল্লাহ পাক বলবেনঃ “আজও আমি তোমাকে ঐ সুর ও শব্দ দান করলাম ।” তখন হযরত দাউদ ( আঃ ) তাঁর মর্মস্পর্শী ও হৃদয়গ্রাহী ভাষায় আল্লাহর প্রশংসাগীতি গাইবেন। এটা শুনে জান্নাতীরা অন্য সব নিয়ামতের কথা ভুলে যাবে। তার এই সুমিষ্ট সুর এবং জ্যোতির্ময় কণ্ঠের মাধ্যমে সব কিছুকে ভুলিয়ে দিয়ে তাদেরকে তিনি নিজের দিকে আকৃষ্ট করবেন।

সূরা সাদ আয়াত 25 সূরা

فغفرنا له ذلك وإن له عندنا لزلفى وحسن مآب

سورة: ص - آية: ( 25 )  - جزء: ( 23 )  -  صفحة: ( 454 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও
  2. হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে রুযী দিয়েছি, সেদিন আসার পূর্বেই তোমরা তা থেকে ব্যয় কর,
  3. তিনি যা করেন, তৎসম্পর্কে তিনি জিজ্ঞাসিত হবেন না এবং তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে।
  4. অথবা বলতে শুরু কর যে, অংশীদারিত্বের প্রথা তো আমাদের বাপ-দাদারা উদ্ভাবন করেছিল আমাদের পূর্বেই। আর
  5. অতঃপর আমি তাকে ও তাঁর পরিবার পরিজনকে বাঁচিয়ে দিলাম, কিন্তু তার স্ত্রী। সে তাদের মধ্যেই
  6. কাফেররা বলেঃ তাঁর প্রতি তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন কেন অবতীর্ণ হলো না? বলে
  7. তারা আপনার কাছে নারীদের বিবাহের অনুমতি চায়। বলে দিনঃ আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের সম্পর্কে অনুমতি দেন
  8. আল্লাহ সম্মানিত গৃহ কাবাকে মানুষের স্থীতিশীলতার কারণ করেছেন এবং সম্মানিত মাসসমূকে, হারাম কোরবানীর জন্তুকে ও
  9. তা এই যে, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আল্লাহর পথে
  10. আল্লাহ তা’আলা মুমিনদের জন্যে ফেরাউন-পত্নীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা! আপনার সন্নিকটে

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা সাদ ডাউনলোড করুন:

সূরা Sad mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Sad শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত সাদ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত সাদ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত সাদ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত সাদ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত সাদ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত সাদ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত সাদ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত সাদ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত সাদ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত সাদ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত সাদ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত সাদ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত সাদ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত সাদ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত সাদ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত সাদ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত সাদ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত সাদ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত সাদ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত সাদ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত সাদ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত সাদ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত সাদ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত সাদ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত সাদ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers