কোরান সূরা সাবা আয়াত 27 তাফসীর
﴿قُلْ أَرُونِيَ الَّذِينَ أَلْحَقْتُم بِهِ شُرَكَاءَ ۖ كَلَّا ۚ بَلْ هُوَ اللَّهُ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ﴾
[ سبأ: 27]
বলুন, তোমরা যাদেরকে আল্লাহর সাথে অংশীদাররূপে সংযুক্ত করেছ, তাদেরকে এনে আমাকে দেখাও। বরং তিনিই আল্লাহ, পরাক্রমশীল, প্রজ্ঞাময়। [সূরা সাবা: 27]
Surah Saba in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Saba ayat 27
তুমি বলো -- ''আমাকে তাদের দেখাও যাদের তোমরা তাঁর সঙ্গে অংশী স্থির করেছ। কখনও না! বরং তিনিই আল্লাহ্ -- মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।’’
Tafsir Mokhtasar Bangla
২৭. হে রাসূল! তাদেরকে বলুন: তোমরা আমাকে ওই সব লোকজন দেখাও যাদেরকে তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে অংশীদার বানিয়ে এবাদতে তাঁর সাথে এদেরকে শরীক করে থাক। আদৌ ব্যাপারটি এমন নয় যেমন তোমরা ধারণা করছ যে, তাঁর শরীক রয়েছে। বরং তিনি সেই আল্লাহ যাঁকে পরাভূতকারী কেউ নেই। তিনি তাঁর সৃষ্টি, ফয়সালা ও পরিচালনায় প্রজ্ঞময়।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
বল, ‘তোমরা যাদেরকে আল্লাহর অংশী স্থির করেছ, তাদেরকে আমাকে দেখাও।’ কক্ষনো না,[১] বরং আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। [১] অর্থাৎ, না তাঁর কেউ সমতুল আছে আর না সমকক্ষ, বরং তিনি সকল বস্তুর উপর পরাক্রমশালী এবং তাঁর সকল কর্ম ও কথা যুক্তি ও হিকমতে পরিপূর্ণ ।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
বলুন, 'তোমরা আমাকে তাদের দেখাও, যাদেরকে তোমরা শরীকরূপে তাঁর সাথে জুড়ে দিয়েছ। না, কখনো না, বরং তিনিই আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, হিকমতওয়ালা।'
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
২৪-২৭ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা এটা সাব্যস্ত করছেন যে, শুধু তিনিই সৃষ্টিকারী ও আহার্যদাতা এবং একমাত্র তিনিই ইবাদতের যোগ্য। যেমন তারা স্বীকার করে যে, আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষণকারী এবং যমীন হতে ফসল উৎপন্নকারী একমাত্র আল্লাহ। অনুরূপভাবে তাদের এটাও মেনে নেয়া উচিত যে, ইবাদতের যোগ্য একমাত্র তিনিই। এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী ( সঃ )! তুমি এই কাফির মুশরিকদেরকে বলঃ যখন আমাদের ও তোমাদের মধ্যে এতো মতানৈক্য ও মতভেদ রয়েছে তবে এতে কোন সন্দেহ নেই যে, একদল হিদায়াতের উপর এবং অপর দল বিভ্রান্তির উপর রয়েছে। এটা হতে পারে না যে, দুই দলই হিদায়াতের উপর রয়েছে বা দুই দলই বিভ্রান্তির উপর রয়েছে। আমরা হলাম একতুবাদী এবং আমরা একত্ববাদের স্পষ্ট ও জাজ্বল্যমান দলীল-প্রমাণাদি বর্ণনা করেছি। আর তোমরা রয়েছে শিরকের উপর, যার কোন দলীল তোমাদের কাছে নেই। সুতরাং নিঃসন্দেহে আমরা হিদায়াতের উপর রয়েছি এবং তোমরা রয়েছে বিভ্রান্তির উপর। রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সাহাবীগণ মুশরিকদেরকে এ কথাই বলেছিলেনঃ “ আমাদের দুইটি দলের মধ্যে একটি দল অবশ্যই সত্যের উপর রয়েছে । কেননা, এরূপ বিপরীতমুখী দুটি দলই সত্যের উপর থাকা অসম্ভব। এটা বিবেক-বুদ্ধির কাছেও অসম্ভবই বটে।এ আয়াতের একটি অর্থ নিম্নরূপও বর্ণনা করা হয়েছেঃ আমরাই আছি হিদায়াতের উপর এবং তোমরা আছ ভ্রান্তির উপর। আমাদের ও তোমাদের মধ্যে কোন সম্পর্কই নেই। আমরা তোমাদের হতে ও তোমাদের আমল হতে সম্পূর্ণরূপে দায়িত্বমুক্ত। হ্যা, তবে আমরা যে পথে রয়েছি তোমরাও যদি সেই পথে চলে আসে তাহলে অবশ্যই তোমরা আমাদের হবে এবং আমরা তোমাদের হবে। অন্যথায় আমাদের ও তোমাদের মধ্যে কোনই সম্পর্ক থাকবে না। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ ( হে নবী সঃ )! তারা যদি তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন বা অবিশ্বাস করে তবে তুমি তাদেরকে বলে দাও আমার আমল আমার জন্যে এবং তোমাদের আমল তোমাদের জন্যে । তোমরা আমার আমল হতে দায়িত্বমুক্ত এবং আমিও তোমাদের আমল হতে দায়িত্বমুক্ত।”( ১০:৪১ )।সূরায়ে কাফিরূনে বলা হয়েছে:( হে নবী সঃ )! তুমি বল- হে কাফিরগণ! আমি তার ইবাদত করি না যার ইবাদত তোমরা কর এবং তোমরাও তার ইবাদতকারী নও যার ইবাদত আমি করি, এবং আমি ইবাদতকারী নই তার যার ইবাদত তোমরা করে আসছে। আর তোমরাও তাঁর ইবাদতকারী নও যার ইবাদত আমি করি। তোমাদের দ্বীন তোমাদের, আমার দ্বীন আমার।”জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ বলেনঃ হে নবী ( সঃ )! তুমি কাফির ও মুশরিকদেরকে বলে দাও আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ কিয়ামতের মাঠে সকলকে একত্রিত করবেন এবং তাদের মধ্যে সঠিক ফায়সালা করে দিবেন। সৎকর্মশীলদেরকে পুরস্কার এবং দুষ্কর্মকারীদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন। ঐ দিন আমাদের সত্যতা প্রকাশ হয়ে পড়বে। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ কিয়ামতের দিন সবাই পৃথক পৃথক হয়ে যাবে । মুমিনরা ও সৎকর্মশীলরা বাগ-বাগিচার মধ্যে আমোদ-আহ্লাদে সময় কাটাবে। আর যারা কুফরী করেছে, আমার আয়াতসমূহকে, আখিরাতের সাক্ষাৎকে আবিশ্বাস করেছে। তারা জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে থাকবে।” ( ৩০:১৪ ) আল্লাহ তা'আলা শ্রেষ্ঠ ও উত্তম ফায়সালাকারী এবং তিনি সর্বজ্ঞ।এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেন, তুমি কাফির ও মুশরিকদেরকে বলে দাওতোমরা আমায় তাদেরকে দেখিয়ে দাও যাদেরকে তোমরা শরীকরূপে আল্লাহর সাথে জুড়ে দিয়েছো। না, কখনো না। তোমরা আল্লাহর শরীক হিসেবে তাদেরকে দেখাতে সক্ষম হবে না। কেননা, তিনি তো তুলনাবিহীন এবং শরীকবিহীন। তিনি একক। তিনি পরাক্রমশালী। তিনি সকলকেই নিজের অধিকারভুক্ত করে রেখেছেন। তিনি সবারই উপর বিজয়ী। তিনি প্রজ্ঞাময়। তিনি অতি পবিত্র ও মহান। মুশরিকরা তার প্রতি যে অপবাদ দেয় তা থেকে তিনি সম্পূর্ণরূপে মুক্ত ও পবিত্র।
সূরা সাবা আয়াত 27 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- সেদিন স্মরণীয়; যেদিন আল্লাহ তাদের সকলকে পুনরুত্থিত করবেন, অতঃপর তাদেরকে জানিয়ে দিবেন যা তারা করত।
- এবং অল্পসংখ্যক পরবর্তীদের মধ্যে থেকে।
- যে বাধা দিত মঙ্গলজনক কাজে, সীমালঙ্ঘনকারী, সন্দেহ পোষণকারীকে।
- আর যারা কাফের এবং আমার আয়াতসমূহ ও পরকালের সাক্ষাতকারকে মিথ্যা বলছে, তাদেরকেই আযাবের মধ্যে উপস্থিত
- সে মুমিন ব্যক্তি বললঃ হে আমার কওম, আমি তোমাদের জন্যে পূর্ববর্তী সম্প্রদায়সমূহের মতই বিপদসঙ্কুল দিনের
- আর যার পাল্লা হালকা হবে,
- অতঃপর মূসা যখন আমার কাছ থেকে সত্যসহ তাদের কাছে পৌঁছাল; তখন তারা বলল, যারা তার
- তবে আমার সম্পর্ক তাঁর সাথে যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। অতএব, তিনিই আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করবেন।
- এসব লোকই তাদের পরওয়ারদেগারের তরফ থেকে আগত হেদায়েতের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং এরাই সফলকাম।
- আমি তাতে সৃষ্টি করি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান এবং প্রবাহিত করি তাতে নির্ঝরিণী।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা সাবা ডাউনলোড করুন:
সূরা Saba mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Saba শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers